পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস

পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস

উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে বেড়েই চলছে শীতের প্রকোপ। কয়েক দিন ধরে এ জেলার উপর দিয়ে হিমেল বাতাস বয়ে যাওয়ার কারণে উঠানামা করছে তাপমাত্রা। পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আবহাওয়া তথ্যানুযায়ী, গত ২০ ডিসেম্বর তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৯ ডিসেম্বর ৯ দশমিক ৫, ১৮ ডিসেম্বর ৯ দশমিক ৭, ১৭ ডিসেম্বর ১০ ও ১৬ ডিসেম্বর ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

জেলায় সন্ধ্যার পর থেকেই হিমেল বাতাস বইতে শুরু করে। চারপাশে কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশের সঙ্গে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার চাঁদরে ঢেকে থাকে চারপাশ। সকালের পর সূর্যের আলোর দেখা মিললেও তেমন উত্তাপ ছড়াচ্ছে না। ফলে শীতের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। অনেকেই কাজে যেতে পারেন না। জেলার নিম্ন আয়ের বেশির ভাগ মানুষ পাথর, চা শ্রমিক ও দিনমজুর। ফলে শীতে কাহিল তারাও।

জেলার সদর উপজেলার চা শ্রমিক রুবেল হোসেন বলেন, কয়েক দিনের তুলনায় কুয়াশা কিছুটা কমলেও বেড়েছে শীতের তীব্রতা। আমরা শীতের কারণে ঠিকমতো কাজও করতে পারছি না ।

একই কথা বলেন তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের পাথর শ্রমিক আব্দুস সামাদ। তিনি বলেন, আমরা শীতের কারণে নদীতে নেমে কাজ করতে পারছি না। এই সময়ে শীতবস্ত্র দিয়ে কেউ সহযোগী করলে আমরা উপকৃত হতাম।

জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে শীতবস্ত্র চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। প্রকৃত গরিব, অসহায় ও শীতার্তদের মধ্যে এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।