জনগণ ভোট বর্জন করে নীরব বিপ্লব ঘটিয়েছে: ইউট্যাব

জনগণ ভোট বর্জন করে নীরব বিপ্লব ঘটিয়েছে: ইউট্যাব

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব) বলেছে, গতকাল রোববার (৭ জানুয়ারি ২০২৪) অনুষ্ঠিত একতরফা ও ডামি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন জনগণ স্বতস্ফূর্তভাবে বর্জন করেছে। এজন্য জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজ সোমবার এক বিবৃতি দিয়েছেন ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান।

তারা বলেন, বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামী লীগ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বহু আগেই। ক্ষমতাসীন অবৈধ সরকার দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছে। সেজন্যই জনগণ আর ভোট নিয়ে আগ্রহ দেখায় না। ফলে ডামি প্রার্থী দিয়ে নিজেরা নিজেরাই প্রহসনের নির্বাচন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। কেননা গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের দু:শাসন ও দুর্নীতিতে দেশের মানুষ অতীষ্ঠ। সেজন্যই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে আওয়ামী লীগ। অবৈধ সরকার ভোট ডাকাতির মাধ্যমে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচনে জনগণের আস্থা নেই।

নেতৃদ্বয় বলেন, অবৈধ সরকারের পাতানো ও ডামি নির্বাচনে দেশের কোনো সচেতন মানুষ ও বিবেকবান ভোটার ভোট কেন্দ্রে যাননি। ভোটারশুন্য ভোট কেন্দ্রে কেবলই ভোট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া কোনো মানুষও ছিলেন না। ছিলো শুধু চতুষ্পদ জন্তু। জনগণ বিরোধী দলগুলোর ডাকে স্বতস্ফূর্তভাবে সাড়া দিয়ে ও সংহতি জানিয়ে জালিয়াতির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বর্জন করেছে। জনগণ এবং গণতন্ত্রকামী মানুষের এই প্রত্যাখ্যানই প্রমাণিত হয় দেশের জনগণ নীরব বিপ্লব ঘটিয়েছে এবং ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নৈতিক পরাজয় হয়েছে। এজন্য সম্মানিত দেশবাসী ও ভোটারদেরকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন।

ইউট্যাবের শীর্ষ দুই নেতা আরও বলেন, ডামি নির্বাচন বর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল মানুষ প্রকৃতপক্ষে শেখ হাসিনাকেই বর্জন করেছে। বাংলাদেশর গৌরবগাঁথা দিনগুলোর সঙ্গে ৭ জানুয়ারি আরেকটি গৌরবের দিন অর্জিত হল, বাংলাদেশের জনগণ ক্ষমতাসীনদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে এই ডামি নির্বাচনকে বর্জন ও বয়কট করেছে। ভোট কেন্দ্রে ভোটার ছিল না, জনগণ ভোট দিতে যায়নি। বাংলাদেশের সমগ্র সমাজ ব্যবস্থা, অর্থনীতি, সভ্যতা-সংস্কৃতি ধ্বংস করেছে, বিচার বিভাগকে কুক্ষিগত করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণের মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়েছে। জনগণ শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে শামিল হয়েছেন। অতএব শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের একসাথে বাংলাদেশ থেকে বিদায় করবে। সেদিন আর বেশি দূরে নয়, এই অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় নিতেই হবে।