আতঙ্কে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা, জমিতেই নষ্ট হচ্ছে ফসল

আতঙ্কে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা, জমিতেই নষ্ট হচ্ছে ফসল

গত কয়েকদিন ধরে মিয়ানমারের ভেতরে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর ভয়াবহ সংঘাত চলছে। এতে ব্যবহার করা হচ্ছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক। এসব গোলাবারুদ আর বিস্ফোরকের বিকট শব্দে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের সীমান্ত এলাকা এখন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

কখনো গুলির খোসা আর কখনো মর্টার শেলের খোসা এসে পড়ছে শুন্যরেখার ওপর। এতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী তুমব্রু, বাইশফাড়ি, ভাজাবনিয়া সীমান্ত পয়েন্টে এখন চরম আতঙ্কে দিন কাটাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

নিরাপত্তাহীনতার কারণে নিজেদের চাষাবাদের জমিতে যেতে পারছে না অনেক কৃষক। উৎপাদিত ফসল জমি থেকে তুলতে না পারায় অনেকের ক্ষেতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ফল-ফলাদি। সীমান্ত এলাকায় নতুনভাবে আতঙ্ক সৃষ্টি হওয়ায় পরিচর্যার অভাবে পাহাড়ের ঢালুতে উৎপাদিত ধান, বাদাম, পান, মরিচসহ বিভিন্ন ফল ফসলাদির জমি এখন নষ্ট হচ্ছে। আর এতে নিরাপত্তাহীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকরা।

এদিকে সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী স্থানীয় বাসিন্দাদের এ সময়টায় আরও বেশি সর্তক থাকার পাশাপাশি অপ্রয়োজনে শুন্যরেখায় অবস্থান না করার পরামর্শ দিয়েছেন জেলা প্রশাসন। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তে এখন পর্যন্ত আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোন পরিস্থিতি আমরা দেখতে পাচ্ছি না। তারপরও আমরা সতর্ক অবস্থায় আছি। আর সীমান্তে উত্তেজনা থাকলে এর প্রভাব শুন্যরেখায় পড়ে এটাই স্বাভাবিক। তারপরও কৃষি বিভাগকে বলবে, চাষিদের সব বিষয়ে সহযোগিতা করতে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যেকোন ধরনের সহযোগিতায় আমরা সর্বদা প্রস্তুত আছি।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম, তুমব্রু, বাইশফাড়ি ও ভাজাবনিয়া সীমান্ত এলাকার শুন্যরেখার পাশে বর্তমানে ৯ হেক্টর জমিতে শতাধিক চাষি চাষাবাদ করছে।