এবার দেশে বাড়ছে রসুনের দাম, নেপথ্যে ভারত

এবার দেশে বাড়ছে রসুনের দাম, নেপথ্যে ভারত

ভারতের গণমাধ্যমজুড়ে রসুনের হাহাকার। আমদানির শীর্ষ বন্দর ভোমরা স্থলবন্দরে নেই মসলাজাতীয় পণ্যটির দেখা। প্রবিবেশী দেশ থেকে না আসায় দাম বেড়েছে বাংলাদেশের বাজারে। রসুন কিনতে দেশের বাজারে তাই ক্রেতাদের দিতে হচ্ছে বাড়তি দাম।

মসলাজাতীয় পণ্যের মধ্যে চাহিদার বিচারে পেঁয়াজের পরই অবস্থান রসুনের। দেশীয় উৎসে পর্যাপ্ত উৎপাদন না হওয়ায় আমদানি করতে হয় বাইরে থেকে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারের দরের সঙ্গে পরিবর্তিত হয় দেশি বাজারও।

এ পণ্যের জন্য অন্যতম প্রধান উৎস ভারত। সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি হয় যার সিংহভাগই। কিন্তু হঠাৎ করে সেদেশের বাজারে কয়েকগুণ মূল্য বেড়ে যাওয়ায় ঋণপত্র খোলা কমিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে এ বছর আমদানি হয়েছে মাত্র ১০০ টন। অথচ গত বছরও প্রতিদিন হয়েছে গড়ে ১২৫ টন হারে। ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জানান, পর্যাপ্ত রসুন না আসায় সংকট হয়েছে স্থানীয় বাজারে।

সুলতানপুর কাঁচা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রওশন আলী বলেন, সাতক্ষীরাসহ গোটা বাংলাদেশের বাজারে রসুনের দামে ঊর্ধ্বগতি রয়েছে। দেশি রসুন না ওঠা পর্যন্ত দর কমবে বলে আশা করা যাচ্ছে না।

ব্যবসায়ীদের হিসাবে, গত বছর ভারত থেকে ১৩ হাজার ২০০ মেট্রিক টন রসুন আমদানি হয় ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে। এদিকে ভারতের রপ্তানিকারকরা জানান, বীজ সংকটে পর্যাপ্ত উৎপাদন না হওয়ায় সংকট সৃষ্টি হয়েছে দেশটির বাজারে।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দরের রসুন রপ্তানিকারক সঞ্জয় মল্লিক বলেন, আগে ১ কেজি রসুনের বীজের দাম ছিল ২০ টাকা। এখন হয়েছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। যে কারণে বাংলাদেশে রসুন যাওয়ার সম্ভাবনা কম। এমনকি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

স্থানীয়দের মতে, গত বছরের একই সময়ে প্রতিকেজি রসুন ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। তবে এবার ঠেকেছে ২০০ টাকায়। এমন অবস্থায় ভোমরা স্থলবন্দরের সভাপতি বলেন বাজারের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে খুঁজতে হবে আমদানির বিকল্প উৎস।

ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী নওশাদ দিলওয়ার রাজু বলেন, ভারতে রসুনের দাম বিশাল বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশটিতে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায়। সেটা বাংলাদেশে এলে দর পড়বে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে রসুনের উৎপাদন ছিল সাড়ে ৬ লাখ। যার বিপরীতে চাহিদা ৮ লাখ টনের মতো।