‘আস্তাগফিরুল্লাহ, এটা শামীম ওসমানের জামাত না’

‘আস্তাগফিরুল্লাহ, এটা শামীম ওসমানের জামাত না’

প্রতি বছরের মতো এবারো শহরের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতের প্রস্তুতি পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ- ৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান। এ সময় কোনো এক কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আস্তাগফিরুল্লাহ, এটা শামীম ওসমানের জামাত না। এটা নারায়ণগঞ্জবাসির তথা সবার জামাত।’

রবিবার দুপুরে দেড়টায় শহরের ইসদাইর এলাকায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ সংলগ্ন সামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠ পরিদর্শন করেন শামীম। এ সময় ঈদ জামাতের কাজের অগ্রগতি ও ঈদের জামাতের দায়িত্বে থাকা ইমামের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।

সামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শামীম ওসমান বলেন, জামাত বড় হলে সওয়াব বেশি হয়। আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একসাথে দেড় দুই লাখ মুসল্লী ঈদের জামাত পড়তে পারি সেজন্যই এই আয়োজন।’

তিনি আরো বলেন, ‘রোজার ঈদের জামাতে দেড় লাখের মতো মুসল্লী সমাগম ঘটেছে। এখন মা বোনরাও দাবি জানিয়েছে, তারাও এই ঈদে জামাতে শরীক হতে চায়।’

আক্ষেপ প্রকাশ করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উদ্দেশে শামীম বলেন, ‘একজন টেক্সপেয়ার হিসেবে আশা করেছিলাম বৃহত্তর ঈদ জামাতের ব্যাপারে সিটি করপোরেশন কিছু একটা করবে। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে ইতিপূর্বের তিনটি জামাতের ব্যাপারে তারা কিছুই করল না। এটার দায়িত্ব তো সিটি করপোরেশনের, আমার না। সিটি করপোরেশন যদি এগিয়ে নাও আসে তবু সকলের সহযোগিতায় এই জামাত অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সচেষ্ট থাকব। আমি হয়তো একদিন থাকব না। কিন্তু নেক্সট জেনারেশন যেন এটার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারে সেদিকেও দৃষ্টি রাখতে হবে।’

ঈদগাহের নান্দনিকতার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এটাকে মক্কা মদিনার আবহে তৈরি করা হয়েছে যেন এখানে নামায পড়তে এসে মনটা ভাল হয়ে যায়। পুরো ঈদগাহ জুড়ে কোরআন ও হাদীসের আয়াত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। আগামীতে এখানে মা বোনদের জন্যও নামাযের ব্যবস্থা করা হবে। আলেম ওলামাদের সাথে আলোচনা করে মাসলা মতে ধর্মীয় নীতি অনুসারে আগামীতে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক ও মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফেরদাউস উর রহমান, দেওভোগ মাদ্রাসা মসজিদ খতিব মোহাদ্দিস মুফতী হারুন অর রশীদ ও প্রমুখ।

এমআই