নায়ারণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। এছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা নারায়গঞ্জে প্রচারণায় এসে নানা হুমকি ও উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। এতে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন বিএনপির এই সাবেক নেতা। আজ মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে তৈমূর আলম খন্দকার এসব কথা বলেন।
তৈমূর আলম বলেন, সরকারি দলের বড় বড় নেতাদের নারায়ণগঞ্জে এনে নানা উস্কানিমূলক ও হুমকিমূলক বক্তৃতা দেওয়ানো হচ্ছে। একজন সম্মানিত মেহমান বলেছেন যে, ‘তৈমূরকে মাঠে নামতে দেওয়া হবে না’। এসব করে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের একজন দায়িত্বশীল কেন্দ্রীয় নেতা নারায়ণগঞ্জে শোডাউনে এসে বলেছেন, তৈমূর ঘুঘু দেখেছে, ঘুঘুর ফাঁদ দেখেনি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আমাকে রেজাল্ট দেখাবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। এই ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই আমি ঘুঘু এবং ঘুঘুর ফাঁদ দেখা শুরু করেছি।
নেতাদের গ্রেপ্তারের অভিযোগ করে তিনি বলেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই।
গতকাল সোমবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় আমার নির্বাচনী প্রচার কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতরাতে বন্দরের বিএনপির এক কর্মীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে গেছে। এখনো পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি স্বীকার করেনি। এছাড়াও যেসব চেয়ারম্যানরা আমার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছিল তাদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। এই পর্যন্ত অন্তত ৩০-৪০ জন নেতাকর্মীর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। এটা এক ধরনের হুমকি।
এমজে/
