নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, নির্বাচনের পর জাতীয় সরকার গঠন করবে বিএনপি: তারেক রহমান

নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে,  নির্বাচনের পর জাতীয় সরকার গঠন  করবে বিএনপি: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। নির্বাচনের পর গণতন্ত্রের পক্ষের সকলকে নিয়ে বিএনপি জাতীয় সরকার গঠন করবে।

৫১তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সোমবার লন্ডনে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জাতীয় সরকারে গণতন্ত্র পক্ষের প্লাটফর্মের রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ছাড়াও শিক্ষাবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিত্বও থাকবে। জাতীয় সরকারের অধীনেই মাফিয়া সরকারের সকল জঞ্জাল পরিষ্কার করে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।

যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদের পরিচালনায় আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন লন্ডন সফররত বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপির সাবেক এমপি জহিরউদ্দিন স্বপন, দলের আন্তর্জাতিক সম্পাদক মাহিদুর রহমান, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, ব্যারিস্টার নওশাদ জমির প্রমুখ।

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে মাফিয়া চক্র চক্রান্ত করছে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, দেশ এখন দুভাগে বিভক্ত। একদিকে বিএনপি, গণতন্ত্রকামী জনগণ এবং গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি। অপরদিকে রয়েছে, আওয়ামী লীগ, মাফিয়া আর গুম খুন অপহরণকারী চক্র। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে মাফিয়া চক্র কিছু কিছু রাজনৈতিক দলকে তাদের সঙ্গে একত্রে নির্বাচন করার টোপ দিচ্ছে। তবে যারা মাফিয়াদের সঙ্গে হাত মেলাবে তাদেরকে জনগণ আওয়ামী লীগের দালাল হিসেবে চিহ্নিত করবে।

তারেক রহমান গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তির প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, আপনাদের অনেকেই জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন। ১৯৭১ সালে যেভাবে জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন আজ আপনাদের সামনে আবারো সময় এসেছে গণতন্ত্রের পক্ষে দাঁড়ানোর, গণতন্ত্রকামী মানুষের পক্ষে দাঁড়ানোর।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, জাতীয় সরকার নয় বিএনপি নির্বাচন চায় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচনের পর জনগণের রায়ে পেলেও বিএনপি এককভাবে সরকার গঠন করবেনা। বরং মাফিয়া সরকার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে যারা কিংবা যে সকল রাজনৈতিক দল গণতন্ত্রের পক্ষের প্লাটফর্মে থাকবে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে তারা বিজয়ী কিংবা বিজিত যাই হোক, সবাইকে নিয়েই বিএনপি জাতীয় সরকার গঠন করবে। কারণ বিএনপি বিশ্বাস করে মাফিয়া সরকার গত একযুগে দেশে যে জঞ্জাল তৈরী করেছে এই জঞ্জাল যদি পরিষ্কার করতে হয় তাহলে দল মত নির্বিশেষে গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তির সকল রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ এবং সুশীল সমাজের সমন্বয়ে জাতীয় সরকার গঠন প্রয়োজন।

তারেক রহমান বলেন, গত একযুগের বেশি সময় বিনাভোটে ক্ষমতা কুক্ষিগত রেখে মাফিয়া সরকার দেশের সকল সাংবিধানিক এবং বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব আজ হুমকির সম্মুখীন। সুতরাং এই মাফিয়া শক্তির কবল থেকে দেশ পুনরুদ্ধারে রাজপথে বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি, গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তির ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, একটি গ্লানিময় সময়ের মধ্যদিয়ে পার হলো স্বাধীন বাংলাদেশের ৫০ বছর অর্থাৎ সুবর্ণ জয়ন্তী। গ্লানিময় এ কারণে, জীবনবাজি রেখে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, মুক্তিযুদ্ধে গৌরবজনক ভূমিকা রেখেছিলেন, তাদের অনেকেই ইন্তেকাল করেছেন। এখনো অনেকেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের গৌরবজনক সাক্ষী হয়ে আমাদের মধ্যে বেঁচে আছেন। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী যারা এখনো বেঁচে আছেন, তাদেরকে সুবর্ণ জয়ন্তীর নানা আয়োজনে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্মের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে পরিচয় করিয়ে দেয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে যারা বিনা ভোটে ক্ষমতা দখল করে রয়েছে তারা বর্তমান প্রজন্মের সঙ্গে ইচ্ছে করেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয় করিয়ে দেয়নি।

তারেক রহমান অভিযোগ করে বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নির্ভয়ে মুখ খুলতে দিলে স্বাধীনতাকামী মানুষের উপর হানাদার বাহিনীর বর্বর আক্রমণ মোকাবেলার প্রস্তুতি ও পরিকল্পনার পরিবর্তে কেন ২৭ মার্চ স্রেফ হরতাল ডাকা হলো মুক্তিযুদ্ধের এমন অনেক অজানা প্রশ্নের জবাব জনগণের সামনে স্পষ্ট হয়ে উঠবে, এ কারণেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে নতুন প্রজন্মের সামনে সম্মানজনকভাবে তুলে ধরা হয়নি।

আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে মিথ্যাচার করছে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) কে কোথায়, কখন, কিভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছে এটি নিয়ে তাদের মধ্যে নানারকম মত। মিথ্যা বলতে হলে নানা কথা বলতে হয়।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, স্বাধীনতা দিবসের আলোচনায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে আলোচনার কথা থাকলেও স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষার আলোচনাটিই এই মুহূর্তে জনগণের সামনে মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, এই মূলমন্ত্রে মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশটাকে স্বাধীন করেছিলেন। সেই স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষের সকল অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশেও একবার রাষ্ট্রের নাগরিকদেরকে ক্ষমতাহীন করে রাখার অপচেষ্টা হয়েছিল। তবে সেই অপচেষ্টা জনগণ সফল হতে দেয়নি। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতাকে সঙ্গে নিয়ে নৈরাজ্য থেকে দেশকে মুক্ত করেছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের পরাজিত সেই অপশক্তি এখন মহাজোটের নামে একজোট আবারো কেড়ে নিয়েছে নাগরিকদের সকল গণতান্ত্রিক অধিকার। দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। ভোটাধিকার নেই। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই। সঠিক বিচার নেই, নেই আইনের শাসন। তথাকথিত ডিজিটাল সিকিউরিটি এক্ট নামক অসভ্য আইন দিয়ে মানুষের কণ্ঠ রোধ করে রাখা হয়েছে।

বিনাভোটে অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলে রাখতে দেশে প্রায় গত একদশক ধরে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় চালানো হয়েছে গুম-খুন-অপহরণ উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, মানুষকে এভাবে নির্বিচার গুম-খুন-অপহরণের দায়ে বিশ্বের শীর্ষ জঙ্গি, মাফিয়া ও সন্ত্রাসীদের তালিকায় নাম উঠেছে দেশের পুলিশ প্রধানসহ র‍্যাবের কয়েকজন কর্মকর্তার নাম। এটি বাংলাদেশের জন্য লজ্জার।

তিনি বলেন, এবারই নয়, স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশেও আওয়ামী লীগ বিপ্লবী সিরাজ সিকদারসহ অসংখ্য মানুষকে গুম, খুন, অপহরণ করেছিল।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দেশের নাগরিকরা যখন অন্যায় অবিচারের শিকার হয়, রাষ্ট্র ও সরকারের রোষানলে পড়ে, তখন নাগরিকদের খোদ বিচার বিভাগই নিশিরাতের সরকারের আইন মন্ত্রণালয়ের আশ্রয়ে। বিচার বিভাগের কার্যক্রমে এখন 'বিচারের বাণী' নয় 'সরকারের বাণী' প্রতিধ্বনিত হয়। ফলে বিচার বিভাগের প্রতি এখন আর সাধারণ মানুষেরও আস্থা নেই।

সম্প্রতি রাজধানীর শাহজাহানপুরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে বদরুন্নেসা কলেজের ছাত্রী সামিয়া আফরান প্রীতির খুন হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, নিহত ছাত্রীর পিত বাবা জামাল উদ্দিন স্পষ্ট করেই বলেছেন, তিনি মেয়ে হত্যার বিচার চাননা। কারণ, দেশে কোনো বিচার নাই, কার কাছে বিচার চাইবেন।

তিনি বলেন, বিচার বিভাগের উপর মানুষের বিশ্বাস কতটা নষ্ট হয়ে গেলে একজন পিতা তার কন্যা হত্যার বিচার চাইতেও অনীহা প্রকাশ করতে পারেন।

তারেক রহমান বলেন, বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের মধ্য দিয়ে বিচার বিভাগে ধ্বংস শুরু হয়েছে।

দেশের ২৩ তম প্রধান বিচারপতির নিয়োগ নিয়েও কথা বলেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, কিভাবে দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করা হয়েছে, গত ১৪ জানুয়ারী কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির দেয়া এক সংবর্ধনা সভায় নিজের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার বক্তব্যটির ভিডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় রয়েছে। বক্তব্যে, প্রধান বিচারপতি নিজের নিয়োগ প্রসঙ্গে জানান, 'প্রথমে আইনমন্ত্রী তাকে জানিয়েছেন, তিনিই হচ্ছেন দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি। তবে আইনমন্ত্রীর আশ্বাসে তিনি আস্বস্ত হতে পারছিলেন না। নিশ্চিত হতে তিনি আওয়ামী লিগ নেতা মাহবুবুল আলম হানিফকে ফোন করে তার প্রধান বিচারপতি হওয়ার ব্যাপারে খোঁজ খবর নিতে বলেন।'

তারেক রহমান বলেন এই হলো দেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগের অবস্থা। অথচ সংবিধান অনুসারে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেয়ার বিধান রাষ্ট্রপতির। তিনি বলেন, এমন অধঃপতিত বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমেই সম্পূর্ণ মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রনোদিত মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী, 'মাদার অফ ডেমোক্র্যাসি' বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি বিচারের নামে অবিচার করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের ঘাড়ে বন্দুক রেখে বিনাভোটের সরকার জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, দেশে বর্তমানে মোট ভোটারের সংখ্যা প্রায় সাড়ে এগারো কোটি। এরমধ্যে গত এক দশকে প্রায় তিন কোটি নতুন ভোটার হয়েছেন। গত এক দশকে নতুন প্রজন্মের এইসব ভোটাররা কি কোনো নির্বাচনে ভোট দেয়া সুযোগ পেয়েছে?

দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকে দন্তহীন বাঘ উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, নিশিরাতের সরকারের দুই মন্ত্রী-উপদেষ্টার ফোনালাপে শোনা যায়, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের এক উপদেষ্টা টেন্ডারবাজিতে লিপ্ত। শুধুমাত্র মাফিয়া সরকার প্রধানের পরিবারের সদস্য হওয়ার কারণেই তার নামের 'শত শত কোটি টাকা'র ফাইল কোনো নীতি নিয়ম না মেনেই পাশ করে দেয়ার ব্যাপারে ওই দুই অবৈধ মন্ত্রী ও উপদেষ্টা আলাপ করছিলেন।

দুর্নীতির এমন সুস্পষ্ট তথ্য থাকার পরও দুদক কি ভূমিকা রেখেছে, প্রশ্ন করেন তারেক রহমান।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, মাফিয়া সরকার দেশে অবাধ দুর্নীতি, টাকা পাচার আর লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। নিশিরাতের সরকারের দুর্নীতি আর অজ্ঞতায় দেশের বাস্তব পরিস্থিতি হলো স্রেফ স্বল্প মূল্যের খাবারের আশায় হাজার হাজার বুভুক্ষ মানুষের হাহাকার।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে এসে বাংলাদেশের এমন পরিণতি হওয়ার কথা ছিলোনা।

তারেক রহমান বলেন, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দুদককে দন্তহীন বাঘ নয় প্রকৃত বাঘে পরিণত করতে হবে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। ফিরিয়ে দিতে হবে বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা। সর্বোপরি সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার এই মূলমন্ত্রে বাংলাদেশ পরিচালিত হবে। এ লক্ষ্য অর্জনের জন্যই বিএনপির আন্দোলন। টেক ব্যাক বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে ইকবাল মাহমুদ টুকু বলেন, আওয়ামী লীগের মিথ্যা ইতিহাসের বিরুদ্ধে সত্য ইতিহাস নিয়ে বিএনপিকে রুখে দাঁড়াতে হবে।

জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর তারেক রহমানের নেতৃত্বেই জাতীয় সরকার গঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।

সভার শুরুতে বাংলাদেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট ও স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শীর্ষক একটি ডকুমেন্টারী প্রচারিত হয়।

এর আগে যুক্তরাজ্য জাসাসের আয়োজনে পরিবেশিত হয় জাতীয় ও দলীয় সংগীত।

এনএস/