যুবলীগের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে আবারও সক্রিয় সম্রাট!

যুবলীগের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে আবারও সক্রিয় সম্রাট!

যুবলীগের প্রতিষ্ঠার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১১ নভেম্বর ডাকা যুব মহাসমাবেশকে ঘিরে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছেন যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। ইতোমধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ফেস্টুন টানিয়ে নিজের উপস্থিতি জানান দিচ্ছেন তিনি।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে অধিকাংশ রাস্তার মোড়ে সম্রাটের এ ফেস্টুন দেখা যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের একনেতা জানান, ১১ নভেম্বর ডাকা যুব মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে জেল থেকে মুক্তির পর রাজনীতিতে নিজের উপস্থিতি জানান দিতে প্রস্তুতি শুরু করেছেন সম্রাট। এ যুব মহাসমাবেশে বিশাল শোডাউন দিয়ে নেত্রীর নজর কাড়ার চেষ্টা করবেন তিনি।

সূত্রে জানা গেছে, নিজের নাম দিয়ে টুপি-গেঞ্জি তৈরি করে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মহাসমাবেশে উপস্থিত থাকবেন এক সময়ের আলোচিত এ নেতা।

১১ নভেম্বর ১০ লাখের বেশি যুবকের সমাগম ঘটিয়ে মহাসমাবেশকে স্মরণকালের বৃহৎ জনসমুদ্রে পরিণত করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে দেশের বৃহত্তম যুব সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। সমাবেশ ঘিরে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে বর্ণাঢ্য সাজে সজ্জিত করা হয়েছে। নির্মাণ করা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন সুবিশাল প্যান্ডেল। এছাড়া পুরো ঢাকা শহরের প্রধান প্রধান সড়কের পাশে জাতীয় পতাকার পাশাপাশি যুবলীগের পতাকা দিয়েও সাজানো হয়েছে বর্ণাঢ্য রূপে।

ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যোনে আয়োজিত এই যুব মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠান সফল করতে গত এক সপ্তাহ যাবৎ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের লেকের পূর্বপ্রান্তে মঞ্চ নির্মাণসহ সার্বিক প্রস্তুতি কার্যক্রম চলছে।

মহাসমাবেশস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিদিন অসংখ্য শ্রমিক উদ্যানের ভেতরে চলাচলের রাস্তা মেরামত, আগাছা ছেঁটে ফেলা, ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা আবর্জনা পরিষ্কার এবং সুবিশাল দৃষ্টিনন্দন মূল মঞ্চ নির্মাণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। গোটা উদ্যান যেন নতুন রূপে সাজানো হয়েছে। যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের অসংখ্য ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ডে ভরে গেছে শাহবাগ থেকে শুরু করে মৎস্য ভবন হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্ত।

মহাসমাবেশকে জনসমুদ্রে পরিণত করে সরকারবিরোধীদের নিজেদের সাংগঠনিক শক্তির জানান দিতে চান সংগঠনের নীতিনির্ধারক নেতারা। এ লক্ষ্যে প্রতিদিনই ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ যুবলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা দফায় দফায় প্রস্তুতি সভা করছে। প্রস্তুতি সভা হচ্ছে দেশের সব জেলা-উপজেলাতেও।

যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী প্রস্তুতি কমিটির একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যুব মহাসমাবেশে সারাদেশ থেকে কমপক্ষে ১০ লাখ নেতাকর্মীর সমাগম ঘটবে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। বিশাল প্যান্ডেলে ঢাকার বাইরে থাকা আসা নেতাকর্মীরা এবং সব জেলার যুবলীগের শীর্ষ নেতারা বসবেন।

আর ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ থেকে আগত নেতাকর্মী মৎস্য ভবন থেকে শাহবাগ, শাহবাগ থেকে দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট মোড় পর্যন্ত অবস্থান নেবে। মহাসমাবেশকে দৃষ্টিনন্দন করতে যুবলীগের উদ্যোগে নানা রঙের টুপি-গেঞ্জি তৈরি করে তা বিভিন্ন ইউনিটে বিতরণ করা হয়েছে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মঞ্চ নির্মাণ তদারকিতে থাকা যুবলীগের প্রস্তুতি কমিটির কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন, যুব মহাসমাবেশে অন্তত ১০ লাখ নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করবেন বলে আমরা দৃঢ় আশাবাদী। আগামী ১১ নবেম্বর আবারও প্রমাণ হবে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের সঙ্গে রয়েছেন।-চ্যানেল 24