রাজশাহীতে নির্বাচন কর্মকর্তাকে ঘুষ দেয়ার চেষ্টার অভিযোগ, অবরুদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতাকে উদ্ধার করলো পুলিশ

রাজশাহীতে নির্বাচন কর্মকর্তাকে ঘুষ দেয়ার চেষ্টার অভিযোগ, অবরুদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতাকে উদ্ধার করলো পুলিশ

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেনকে তার বাসায় ঘুষ দেয়ার চেষ্টার অভিযোগে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে অবরুদ্ধ করার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ওই নির্বাচন কর্মকর্তার বাসা থেকে অবরুদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতাকে পুলিশ উদ্ধার করে। গত রাত সাড়ে দশটার দিকে নগরীর টিকাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, আগামী ২১শে জুন নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে রাজশাহী মহানগরীর ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল হামিদ সরকার টেকনের পক্ষে তার ভাগনে নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইসতিয়াক আহমদ লেমন সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেনের বাড়িতে টাকা লেনদেন করছেন এমন অভিযোগ পেয়ে ওই বাড়ি ঘেরাও করেন স্থানীয় এলাকাবাসী ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় ভেতরে গিয়ে কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা মোবাইলে ভিডিও করতে থাকেন। পরে মীর ইসতিয়াক আহমদ লেমনকে সেই বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখা হয় দেড় ঘণ্টা। রাত ১২টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল তাকে হেফাজতে নিয়ে ডিবি কার্যালয়ে চলে যায়। এরপরই সাংবাদিকদের সেই বাড়িতে প্রবেশ করানো হয়।

ভেতরে থাকা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং রাজশাহী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেন জানান, রাস্তায় লেমনের সঙ্গে তার দেখা হয়। তিনি বাসায় গিয়ে কথা বলার অনুরোধ করলে লেমন তার সঙ্গে দ্বিতীয় তলায় উঠে যান। তবে নির্বাচনে মামা ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল হামিদ সরকার টেকনের পক্ষে তিনি কোনো কথা বলেননি বলে দাবি করেন এই নির্বাচন কর্মকর্তা।

যারা শুরুতে তাদের বাড়িটির ভেতরে অবরুদ্ধ করেন সেই ছাত্রলীগ নেতারাও টাকা লেনদেনের কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি। তারা ধারণা করেছেন- এখানে ভোট প্রভাবিত করতে টাকা লেনদেনের প্রস্তুতি চলছিল।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল হোসেন বলেছেন, শুধুমাত্র সন্দেহের বশে কিছু লোক এ ঘটনা ঘটিয়েছে। লেমন রাজশাহী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মীর ইকবালের ছেলে। তিনি কথা বলতে চাইলে না করতে পারেননি নির্বাচন কর্মকর্তা। এছাড়া ২২ নম্বর ওয়ার্ড তার আওতার মধ্যে নেই জানিয়ে বলেন, তিনি ৯ থেকে ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন এখানে ২২ নম্বরে তিনি কি করে প্রভাব বিস্তার করবেন। তবে এ ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ ছাত্রলীগের কর্মীরা বাড়িটি ঘিরে রেখেছিলেন। সকাল পর্যন্ত সেখানে পুলিশি প্রহরা দেখা গেছে। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে রাতে কেউ কথা বলতে রাজি হননি।

তবে পুলিশের ঊর্ধ্বতন সূত্র জানিয়েছে, আদতে সে কি করতে সেখানে গিয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হবে। সকালে এ বিষয়ে কাজ শুরু করবেন তারা।