বিএনপির নেতা-কর্মীদের মহাসমাবেশে যেতে বাধা দিতে সাভারে লাঠি হাতে যুবলীগের অবস্থান

বিএনপির নেতা-কর্মীদের মহাসমাবেশে যেতে বাধা দিতে সাভারে লাঠি হাতে যুবলীগের অবস্থান

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার থানাস্ট্যান্ড এলাকায় শুক্রবার সকালে সাভার থানা, আশুলিয়া থানা ও সাভার পৌর যুবলীগের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। পরে তারা একই এলাকায় মহাসড়কের আরিচাগামী লেনের পাশে ছোট আকৃতির প্যান্ডেলে লাঠি হাতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

বিএনপির নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, ঢাকায় তাদের শনিবারের মহাসমাবেশে নেতা-কর্মীদের যেতে বাধা দিতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা লাঠি হাতে সাভারের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন।

সাভার থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আটক-গ্রেপ্তারের ভয়ে আমাদের নেতা-কর্মীরা বাসাতেই থাকতে পারছেন না। আমার বাসায় প্রায় প্রতিদিনই আমাকে খুঁজতে পুলিশ যাচ্ছে। নেতা-কর্মীদের আটক করে আগের বিভিন্ন মামলায় জড়িত না থাকা সত্ত্বেও আসামি করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা যখনই দলীয় কর্মসূচি পালন করতে যাই, পুলিশ বাধা দেয়। প্যান্ডেল ভেঙে দেয়। গত এক মাসে অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। কালকের কর্মসূচিতে নেতা-কর্মীদের যেতে বাধা দিতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা লাঠি হাতে সাভারের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকার বলেন, বিএনপি ও জামায়াতের নৈরাজ্য, সন্ত্রাস প্রতিরোধের পাশাপাশি শান্তি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। লাঠিগুলো মূলত আমাদের দলীয় ও জাতীয় পতাকার জন্য।

এদিকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবারের মহাসমাবেশ যোগ দিতে ঢাকার বাইরের বিএনপি নেতা-কর্মীদের অনেকে গত কয়েক দিনে ঢাকা চলে গেছেন। বাকিরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন যাওয়ার। তবে তারা সবাই রয়েছেন গ্রেপ্তারের আতঙ্কে। মহাসড়কে পুলিশের তল্লাশিচৌকিতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বহনকারী গাড়ি আটকে দিয়ে নেতা-কর্মীদের আটক করছে পুলিশ। এ ছাড়া রাতে বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের আটক করে সংশ্লিষ্ট থানায় বিভিন্ন সময়ে করা মামলার অজ্ঞাতনামা আসামির জায়গায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।

বিএনপির নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা প্রথম আলোকে বলেন, যাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাদের বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

লাঠি হাতে যুবলীগের নেতা-কর্মীদের অবস্থানের বিষয়ে ওসি বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়, এমন ঘটনায় যারাই জড়িত থাকবেন, তদন্ত করে আমরা তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেব।’