নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভীড় বাড়ছে

নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভীড় বাড়ছে

সরকার পতনের একদফা দাবিতে আগামীকাল শনিবার নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। এই মহাসমাবেশ থেকে সরকারের পতনের আগামীদিনের আন্দোলনের বার্তা নিতে সারাদেশ থেকে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা ঢাকায় এসেছেন। শুক্রবার বিকাল থেকেই নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে শুরু করেছেন সারাদেশ থেকে আসা দলটির নেতাকর্মীরা। সময় যতই যাচ্ছে নয়াপল্টনে নেতাকর্মীদের পদচারণা ততই বাড়ছে।

সরজমিনে দেখা গেছে, রাত সাড়ে ৭টায় নয়াপল্টনে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার অবস্থান করছেন। এরমধ্যে বেশি ভাগই ঢাকায় বাইরে থেকে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা। পাশাপাশি নয়াপল্টনে সাধারণ মানুষের উপস্থিতিও লক্ষ্য করা গেছে।  

সারাদেশ থেকে আসা নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে খণ্ড খণ্ডভাবে দাঁড়িয়ে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। এরমধ্যে রাত ৭টা ২৫ মিনিটে নয়াপল্টন থেকে রিকশায় করে চলে যান বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তাকে দেখেই নেতাকর্মী উচ্চ কণ্ঠে স্লোগান ধরেন। স্লোগানে প্রত্যুত্তরে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ও হাত তুলে সাড়া দেন।
বরিশাল থেকে এসেছেন মো. রফিকুল ইসলাম মঈন।

তিনি বরিশাল মহানগরের ১৬নং ওয়ার্ড বিএনপি'র আহ্বায়ক। মঈন বলেন, মহাসমাবেশে এসেছি সরকার পতনের বার্তা নিতে। সেই বার্তা নিয়ে বরিশালে ফিরে গিয়ে সরকার পতনের আন্দোলনকে আরো বেশি জোরদার করবো। তিনি জানান, বরিশাল মহানগরের ১৬নং ওয়ার্ড থেকে ৩৫ জন নেতাকর্মীকে নিয়ে এসেছেন এবং মহানগর থেকে প্রায় ১ হাজার নেতাকর্মী এসেছেন।

মহাসমাবেশে যোগ দিতে কুড়িগ্রাম থেকে এসেছেন সুলতান মাহমুদ। তিনি কুড়িগ্রাম ছাত্রদলের একজন সদস্য। সুলতান মাহমুদ বলেন, নয়াপল্টনের পরিস্থিতি দেখতে সমাবেশের একদিন আগেই এখানে এসেছি। আগামীকাল তো আসবোই। কারণ কাল সরকার পতনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সেই কর্মসূচি নিয়ে এলাকায় গিয়ে আন্দোলন শুরু করবো। বিএনপি'র নেতাকর্মীরা ছাড়াও নয়াপল্টনের পরিস্থিতি দেখতে এসেছেন সাধারণ জনগণও। এদের মধ্যে জসিম উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা হয় মানবজমিনের। তিনি থাকেন ঢাকার শান্তিনগরে, পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী। জসিম জানান, নয়াপল্টনের পরিস্থিতি দেখতেই মূলত তিনি এখানে এসেছেন।

এদিকে মহাসমাবেশকে ঘিরে নয়াপল্টন বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এবং এর আশপাশের এলাকায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পাশাপাশি সাদা পোশাকেও বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছেয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে জলকামান ও এপিসি।