ঢাকা, ২ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : মিরপুর টেস্টের আগেই টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান জানিয়ে দিয়েছিলেন, আক্রমণাত্মক খেলবে বাংলাদেশ। টেস্টের দ্বিতীয় দিনই বাংলাদেশ বুঝিয়ে দিল কতটা আগ্রাসী হতে পারে তারা।
প্রথমে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে ৫০৮ রানের পাহাড় দাঁড় করায়। তারপর দ্বিতীয় দিন বিকাল স্পিনের ঘূর্ণিতে প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করে মাঠ ছেড়েছে স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের চেয়ে ৪৩৩ রানে পিছিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করেছে ক্যারিবীয়রা। এরই মধ্যে নেই ৫ উইকেট।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৭৫ রান। ব্যাট করছেন শিমরন হেটমেয়ার (৩২*) ও শন ডোরিচ (১৭*)।
শনিবার মাহমুদউল্লাহর ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসে ভর দিয়ে বড় রানের ভিত্তি পায় বাংলাদেশ। পাশাপাশি অভিষিক্ত সাদমানের ৭৬, সাকিবের ৮০ ও লিটন দাসের ৫৪ রান ইনিংস গড়তে বড় অবদান রাখে।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ১১ জন ব্যাটসম্যান দুই অংকের ঘরে পৌঁছাতে পেরেছেন। যার মধ্য দিয়ে রেকর্ড বইয়ে ঢুকে গেছে বাংলাদেশের ইনিংস।
টেস্ট ইতিহাসে কোনো ইনিংসে প্রত্যেক ব্যাটসম্যানের ডাবল ফিগারে পৌঁছার ঘটনা এর আগে ঘটেছিল মাত্র ১৩ বার। বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে ১৪তম বারের মতো ঘটল বিষয়টি; টাইগারদের হাত ধরে। বাংলাদেশের আগে সর্বশেষ এমনটি ঘটেছিল ২০১৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ড টেস্টে। সর্বপ্রথম ঘটেছিল ১৮৯৪ সালে।
ব্যাটিংয়ের পর বল হাতেও রেকর্ড বুকে নাম লেখান সাকিব-মিরাজরা। মাত্র ২৯ রানে ক্যারিবীয়দের ৫ উইকেটে তুলে নেয় টাইগাররা। সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ মিলে নেন এই পাঁচ উইকেট। মিরাজ তিনটি ও সাকিব নেন ২ উইকেট। ক্যারিবীয়দের পাঁচ ব্যাটসম্যানই হয়েছেন বোল্ড আউট।
আর তাতেই দারুণ একটা কীর্তি লেখা হয়ে গেছে বাংলাদেশের পক্ষে। নির্দিষ্ট করে বললে সাকিব ও মিরাজের হাত ধরে লেখা হলো কীর্তিটি। ১২৮ বছর আগে ঘটে যাওয়া কীর্তি ফের করে দেখালেন সাকিব ও মিরাজ।
টেস্ট ক্রিকেটে প্রতিপক্ষের প্রথম ৫ উইকেট বোল্ড আউটের মাধ্যমে তুলে নিয়েছে কোনো দলের বোলাররা, এমন ঘটনা সর্বশেষ ও দ্বিতীয়বারের মতো ঘটেছিল ১৮৯০ সালে। প্রথমবার ঘটে ১৮৭৯ সালে। অর্থাৎ ১২০ বছর পর এই কীর্তি গড়ে তালিকায় তৃতীয় দল হিসেবে নাম লেখাল বাংলাদেশ।
(জাস্ট নিউজ/এমআই/০৯৪৫ঘ.)