খুলনাকে ৮ রানে হারাল মাশরাফি বাহিনী

খুলনাকে ৮ রানে হারাল মাশরাফি বাহিনী

ম্যাচটা শেষ দিকে হয়ে উঠল দুই অধিনায়কের লড়াই। উইকেটে মাহমুদউল্লাহ, আর মাত্রই বোলিং কোটা পূরণ করেছেন মাশরাফি। শেষ ৪ ওভারে ৪৩ রানের সমীকরণ মেলাতে হবে মাহমুদউল্লাহকে। আর ওই চার ওভারে শুধুই অধিনায়কত্ব নিয়ে ভাবতে পারা মাশরাফির দায়িত্ব রানটা যেন কোনোভাবেই ৪১ পার না হয়। শেষ পর্যন্ত সে লড়াইয়ে জিতলেন মাশরাফি। খুলনা টাইটানসকে ৮ রানে হারাল রংপুর রাইডার্স।

সমীকরণটা ৫ ওভারে ৫৩ ছিল। ১৬তম ওভারে মাশরাফির বলেই গোটা দুই চার মেরে সেটা ৪৩ এ নামিয়েছেন ওই মাহমুদউল্লাহ। বোলার মাশরাফি তবু সফল। রানটা একটু বেশি (৩৫) দিলেও আগের ওভারেই মূল কাজটা করেছেন। দুর্দান্ত ব্যাটিং করা পল স্টারলিংকে বোল্ড করে রংপুরকে খেলায় ফিরিয়েছেন তো অধিনায়কই। ১৭০ রানের লক্ষ্যে নামা খুলনা এর আগে ছুটছিল দুর্দান্ত গতিতে। প্রথম ১০ ওভারেই এসেছে ৮৫ রান, সেটাও বিনা উইকেটে।

জুনায়েদ সিদ্দিকের সঙ্গে স্টারলিংয়ের উদ্বোধনী জুটিটা ভাঙল ৯০ রানে। নাজমুল হোসেন শান্ত এলেন, দেখলেন আর আউট (১ রান) হলেন। ২০ বলের মধ্যে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে স্টারলিং ফিরলেন। জয় থেকে তখনো ৬২ রান দূরে খুলনা। প্রথমবারের মতো মনে হলো এ ম্যাচ রংপুর জিততেও পারে।

অধিনায়কত্বের লড়াইটা সম্পূর্ণ হলো ১৮তম ওভারে। ফরহাদ রেজার বলে শর্ট মিড উইকেটে মাশরাফির হাতেই ক্যাচ দিলেন মাহমুদউল্লাহ (২৪)। ১৪০ রানে অধিনায়ককে হারাল টাইটানস। এক বল বিরতি দিয়ে পরের ওভারে আউট আরিফুল হকও (১২)। খুলনার সব আশা ভরসা তখন কার্লোস ব্রাফেট। একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতাতে মাত্র ৪ বল দরকার হয়েছিল এই অলরাউন্ডারের। ১১ বলে ৩০ রান তুলতে ওই ব্রাফেটকেই দরকার ছিল খুলনার। কিন্তু শফিউল ইসলাম টানা তিন ওয়াইড দেওয়ার পরও ওই ওভারে এল মাত্র ১০ রান।

শেষ ওভারে ২০ রান দরকার ছিল খুলনার। ফরহাদ রেজার হাতে বল। প্রথম বলেই ৪! পরের বলে এল দুই রান। ৪ বলে দরকার ১৪ রান। পরের বলে একদম উল্টো কারণে শিরোনাম হওয়ার দশা মাশরাফির। জহুরুলের ক্যাচ হাতছাড়া করলেন, এল ১ রান। পরের বলে ব্রাফেটও ১ রানের বেশি নিতে পারলেন না। পরের দুই বলে দুই ছক্কা দরকার ছিল। মাত্র ৩ রান নিতে পারলেন জহুরুল।

একে/