নিষিদ্ধ হলেন সরফরাজ

নিষিদ্ধ হলেন সরফরাজ

ক্ষমা চেয়েছিলেন। ক্ষমা পেয়েছেনও। কিন্তু ততক্ষণে ঘটনা অনেক দূর গড়িয়ে গেছে। তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে। ক্রিকেটের বিশ্ব নিয়ন্ত্রণ সংস্থা- আইসিসি তদন্ত কমিটি বসিয়ে সত্যতা দেখতে পেয়েছেন। ফলাফল, চার ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ।

কী ঘটেছিল?
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডের ৩৭তম ওভারের ঘটনা। উইকেটকিপিংয়ের সময় প্রোটিয়া অলরাউন্ডার আন্দিল ফেলুকায়োকে উদ্দেশ করে বর্ণ বৈষম্যমূলক মন্তব্য করেন সরফরাজ। ব্যাটিংয়ে ব্যস্ত ফেলুকায়োকে ‘কালো’ বলে সম্বোধন করেন তিনি, যা ধরা পড়েছিল স্টাম্প মাইক্রোফোনে। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় এটি ভাইরাল হয়ে যায়। সমালোচনার ঝড় উঠে। পরে সামাজিক মাধ্যমে এর জন্য ক্ষমা চান সরফরাজ। ক্ষমা পেয়ে যান তিনি।

তবে প্রোটিয়া অধিনায়ক ফাফ ডু’‌প্লেসিস এ কথাও জানিয়ে দেন যে, ‘‌সরি বলেছে বলেই আমরা ক্ষমা করে দিয়েছি ওকে। এই মন্তব্যের দায়িত্ব সরফরাজ নিয়েছে। এখন এটা আর আমাদের হাতে নেই। ব্যাপারটা আইসিসি দেখছে।’‌

তিনি আরো বলেন, ‘‌দক্ষিণ আফ্রিকায় এলে বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য করার সময় সতর্ক থাকতেই হবে। আমি নিশ্চিত যে সরফরাজ এটা ফেলুকায়োকে উদ্দেশ্য করে বলেনি। তবে তার এই মন্তব্যের দায়িত্ব নিয়েছে। এখন দেখতে হবে এর পরিণতি কী হয়। আমরা এটাকে একেবারেই হালকাভাবে নিচ্ছি না।’‌

সরফরাজের ক্ষমা চাওয়ার পর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও (পিসিবি) আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতির মাধ্যমে ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে। কিন্তু আইসিসি শাস্তির সিদ্ধান্ত বহাল রাখে। তদন্ত করে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আজ সরফরাজের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

এর ফলে দক্ষিণ আফ্রিকায় সিরিজের বাকি দুটি ওয়ানডে এবং ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া টি-২০ সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচ খেলতে পারবেন না সরফরাজ।

একে/