প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে পিএসজি

প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে পিএসজি

দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখালেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। নিজে একটি গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরও দুটি গোল। দ্যুতি ছড়িয়েছেন নেইমারও। তাতে চ্যাম্পিয়নস লিগে লাইপগিজকে হারিয়ে প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেছে পিএসজি।

পতুর্গালের লিসবনে মঙ্গলবার রাতে জার্মান ক্লাবটিকে ৩-০ ব্যবধানে হারায় লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নরা। প্রথমার্ধে মার্কিনিয়োসের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর বিরতির আগে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ডি মারিয়া। আর দ্বিতীয়ার্ধে প্রতিপক্ষের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেন হুয়ান বের্নাত।

রোববার ইউরোপ পর্যায়ে ক্লাব প্রতিযোগিতার শ্রেষ্ঠত্বের চূড়ান্ত লড়াইয়ে মাঠে নামবে পিএসজি। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ হবে বায়ার্ন মিউনিখ ও লিওঁ মধ্যকার অপর সেমি-ফাইনালের জয়ী দল।

খেলা শুরুর ষষ্ঠ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত পিএসজি। সতীর্থ এমবাপের পাস থেকে বল পেয়ে খুব থেকে শট নিয়েছিলেন নেইমার। কিন্তু গোলপোস্টের বাধায় ব্যর্থ হতে হয় ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ডকে।

পরের মিনিটে নিজেই জালে বল জড়িয়েছিলেন এমবাপে। কিন্তু এর আগে নেইমারের হাতে বল লাগায় আবার হতাশ হতে হয় পিএসজিকে।

অবশ্য গোল পেতে খুব বেশি দেরি হয়নি টমাস টুখেলের দলকে। ত্রয়োদশ মিনিটে সেট পিস থেকে বল পেয়ে ক্রসে বাড়িয়ে দেন ডি-বক্সে। খুব কাছ থেকে নিখুঁত হেডে ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মার্কিনিয়োস।

পিছিয়ে পড়া লাইপজিগ সমতা ফেরাতে মরিয়ে হয়ে ওঠে। একাধিকবার গোলের সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারেনি শেষ ষোলোয় টটেনহ্যাম হটস্পার ও কোয়ার্টার-ফাইনালে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে চমক দেখিয়ে আসা বুন্ডেস লিগার ক্লাবটি।

ম্যাচের ৪২তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে পিএসজি। নেইমারের ফ্লিকে বল পান ডি মারিয়া। ডি-বক্সের মাঝামাঝি থেকে বাঁ পায়ের শটে লক্ষ্যে বল পাঠান এই আর্জেন্টাইন তারকা।

তিনি মিনিট পর আরও একটি গোল পেতে পারত পিএসজি। সুবিধাজনক জায়গায় বল পেয়েও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার।

প্রথমার্ধে ব্যবধান কমানোর অসাধারণ একটি সুযোগ পেয়েছিলেন লাইপগিজের ইউসুফ পুলসেন। কিন্তু তার নেওয়া শটটি চলে যায় গোলপোস্টের বাইর দিয়ে।

বিরতির পরও ছন্দ ধরে রাখে পিএসজি। ৫৬তম মিনিটে ডি মারিয়ার ক্রস থেকে বল পেয়ে ছোট ডি-বক্স থেকে হেডে জালে বল জড়ান ডিফেন্ডার বের্নাত।

ম্যাচের বাকি সময়ে গোলের আরও সুযোগ পেয়েছিল পিএসজি। কিন্তু নেইমাররা সেসব কাজে লাগাতে না পারায় ব্যবধান আর বাড়াতে পারেনি দলটি। অসাধারণ এক সাফল্যের হাতছানিয়ে নিয়ে ম্যাচ শেষে বাধভাঙা উল্লাসে মাতে প্যারিসের ক্লাবটি।

এমজে/