হতাশার একদিন পার করল বাংলাদেশ

হতাশার একদিন পার করল বাংলাদেশ

দিনের শুরু থেকে হতাশায় ডুবিয়েছেন বোলাররা। তাই প্রথম ইনিংসে বিশাল সংগ্রহ গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দিনের শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন মুমিনুল, সৌম্য, শান্তরা। তাই ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিন মোটেই ভালো কাটেনি বাংলাদেশের।

আজ শুক্রবার প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৩৬ ওভার ব্যাট করে চার উইকেটে ১০৫ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। দিন শেষে উইকেটে ২৭ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিকুর রহিম। তাঁর সঙ্গে ৬৭ রানে ব্যাট করছেন মোহাম্মদ মিঠুন। ৩০৪ রানে পিছিয়ে থেকে আগামীকাল শনিবার তৃতীয় দিন শুরু করবে মুমিনুল হকের দল। ফলোঅন এড়াতে আরো ১০৫ রান করতে হবে বাংলাদেশকে।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজ দ্বিতীয় সেশনের শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই হতাশ করলেন স্বাগতিক ক্রিকেটাররা। সাকিব আল হাসানের চোটের কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে সুযোগ পেয়েছিলেন সৌম্য সরকার। কিন্তু টেস্টে নতুন করে জায়গা ফিরে পাওয়ার সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না তিনি। ব্যাট করতে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নিলেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান।

সৌম্যর পর তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে বাউন্ডারি দিয়ে শুরু করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অথচ পরের বলেই ফিরে যান সাজঘরে। দলীয় ১১ রানের মাথায় দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দুটি উইকেটই নিয়েছেন গ্যাব্রিয়েল।

পরপর দুই উইকেট হারানোর পর ওপেনার তামিম ইকবালের সঙ্গে কিছুটা লড়াই করেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। কিন্তু আশা জাগিয়েও টিকে থাকতে পারল না এই জুটি। দলীয় ৭১ রানের মধ্যে তামিম-মুমিনুল দুজনেই ফিরলেন ড্রেসিং রুমে।

চার টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে হারানোর পর দিনের শেষ অংশ মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে লড়াই করেন মুশফিক। পঞ্চম উইকেটের এই জুটিতে চড়ে দিনের শেষ অংশ পার করে বাংলাদেশ। দুজন মিলে ১২২ বলে ৩৪ রানের জুটি গড়েছেন।

প্রথম ইনিংসে ৪০৯ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রানের দেখা পেয়েছেন ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানরা। আজ দিনের শুরু থেকেই ছন্দে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম সেশনে অতিথিদের কেবল একটি উইকেট নিতে পেরেছে বাংলাদেশ। সেটি ছিল বোনারের। প্রথম দিন দাপট দেখানো এই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দিনের শুরুতে তাঁর প্রতিরোধ ভেঙেছেন মিরাজ। বোনার ফেরার পর থেকে বাংলাদেশকে ভুগিয়েছেন ডি সিলভা ও আলজারি জোসেফ।

দিনের ১২তম ওভারে মিরাজের করা বল মোকাবিলা করতে গিয়ে মোহাম্মদ মিঠুনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন বোনার। ৯০ রানে থামেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ২০৯ বলে তাঁর ইনিংসে ছিল সাতটি বাউন্ডারি।

এরপর দ্বিতীয় সেশনের অর্ধেক পর্যন্ত লড়াই করেন জোসেফ ও ডি সিলভা। এই জুটিতেই তিনশ ছাড়ায় ক্যারিবীয়রা। দুজনে মিলে গড়েন ১১৮ রানের জুটি। শেষ পর্যন্ত দলীয় ৩৮৪ রানে এই জুটি ভাঙেন তাইজুল। ৯২ রান করা ডি সিলভাকে বোল্ড করেন তিনি।

সিলভার পর দ্রুত ফেরেন জোসেফও। ১০৮ বলে তিনি ৮২ রান করেন। এরপর শেষের দিকের ব্যাটসম্যানদের উপর ভর করে ৪০৯ রানে থামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে সমান চারটি করে উইকেট নিয়েছেন আবু জায়েদ রাহি ও তাইজুল ইসলাম। একটি করে নিয়েছেন মিরাজ ও সৌম্য সরকার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস : ১৪২.২ ওভারে ৪০৯ (বনার ৯০, জশুয়া ৯২, জোসেফ ৮২, কর্নওয়াল ৪*, ওয়ারিক্যান ২, গ্যাব্রিয়েল ৮; আবু জায়েদ ২৮-৬-৯৮-৪, মিরাজ ৩৩-৯-৭৫-১, নাঈম ২৪-৩-৭৪-০, তাইজুল ৪৬.২-৮-১০৮-৪, সৌম্য ১১-১-৪৮-১)।

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস : ৩৬ ওভারে ১০৫/৪ (তামিম ৪৪, সৌম্য ০, শান্ত ৪, মুমিনুল ২১, মুশফিক ২৭*, মিঠুন ৬; গ্যাব্রিয়েল ৮-২-৩১-২, কর্নওয়াল ১১-৪-১৮-১, জোসেফ ৮-১-৩৪-১, মায়ার্স ৫-১-১২-০, ওয়ারিকান ৪-১-১০-০)।