জিম্বাবুয়ে’র কাছে হতাশার হার টাইগারদের

জিম্বাবুয়ে’র কাছে হতাশার হার টাইগারদের

একমাত্র টেস্টে জয়ের পর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও কর্তৃত্ব করে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। জয় পায় প্রথম টি-২০ ম্যাচেও। একতরফা হয়ে ওঠা সিরিজে প্রাণ ফেরালো জিম্বাবুয়ে। সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে বাংলাদেশকে ২৩ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দিলো তাঁরা। মাহমুদুল্লাহ'র দলকে সিরিজ হারের শঙ্কায় রাখলো।

হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে শুক্রবার (২৩ জুলাই) টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে জিম্বাবুয়ে। তোলে ৬ উইকেটে ১৬৬ রান। জবাব দিতে নেমে নিয়মিত উইকেট হারিয়ে এক বল থাকতে অলআউট হয় বাংলাদেশ।

শুরুতে উইকেট হারালেও জিম্বাবুয়ে ওপেনার ওয়েলসলি মেধেভেরে দলকে এগিয়ে নেন। তিনি খেলেন ৭৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস। তাঁর ৫৭ বলে পাঁচ চার ও তিন ছক্কায় সাজানো ইনিংসে ভর করে বড় সংগ্রহ পায় জিম্বাবুয়ে। এছাড়া দলের পক্ষে রায়ান বার্ল ৩৪ ও দিয়ন মায়ার্স ২৬ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন।

জবাব দিতে নেমে শুরুতে দুই টাইগার ওপেনার নাঈম শেখ ও সৌম্য সরকার ফিরে যান। প্রথম ম্যাচে অপরাজিত থাকা নাঈম ৫ রান করে বোল্ড হন। সৌম্য ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৮ রান করে। সাকিব আল হাসান, মাহমুদুল্লাহ কিংবা শেখ মাহেদিও সাবলিল ছিলেন না।

তিনে নেমে স্পিন অলরাউন্ডার মাহেদি ফিরে যান ১৯ বলে ১৫ রান করে। সাকিব আউট হন ১০ বলে ১২ রান যোগ করে। অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ'র ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৪ রান। তাঁরা তিনজনই জিম্বাবুয়ে'র বাঁ-হাতি অফ স্পিনার ওয়েলিংটন মাসাকাদজা'র বলে আউট হন।

পরে টেন্ডি ছাতারা ও লুক জংওয়ে ধসিয়ে দেন বাংলাদেশকে। দলের পক্ষে ১৩ বলে সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন অভিষেক হওয়া অলরাউন্ডার শামীম পাটোয়ারি। তিনি ছোট্ট একটা ঝড় দেখিয়ে জোরের ওপর শট নিয়ে আউট হন। এছাড়া আফিফ হোসেন ২৪ ও সাইফউদ্দিন-এর ব্যাট থেকে আসে ১৯ রান।

জিম্বাবুয়ে'র হয়ে লুক জংওয়ে ও মাসাকাদজা তিনটি করে উইকেট নেন। দুটি করে উইকেট ‍তুলে নেন ব্লেজিং মুজুরাবানি ও টেন্ডি ছাতারা। বাংলাদেশ-এর হয়ে শরিফুল ইসলাম নেন ৩ উইকেট। সাকিব ও মাহেদি একটি করে উইকেট পান। আগামী ২৫ জুলাই সিরিজের শেষ টি-২০ ম্যাচ মাঠে গড়াবে।