৭ বলে ৩ উইকেট ইবাদতের, দিশাহারা নিউজিল্যান্ড

৭ বলে ৩ উইকেট ইবাদতের, দিশাহারা নিউজিল্যান্ড

৭ বলের ব্যবধানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে দারুণভাবে ম্যাচে ফেরালেন ইবাদত হোসেন।

১৩০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা নিউজিল্যান্ড ৬৩ রানে হারিয়ে বসে ২ উইকেট। তবে তৃতীয় উইকেটে জুটি গড়ে চাপ অনেকটাই সামলে নেন উইল ইয়াং এবং রস টেইলর। তাদের ব্যাটে লিড নেন নিউজিল্যান্ড। তবে হাফসেঞ্চুরিয়ান ইয়াংকে ফিরিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি এনে ইবাদত হোসেন। দলীয় ১৩৪ রানে ইবদাতের দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন ইয়াং (৬৯)। দুই বল পরেই হেনরি নিকোলসকেও বোল্ড করেন ইবাদত (০)। এক ওভার বিরতি দিয়ে আবার বোলিংয়ে আসেন ইবাদত। ওভারের তৃতীয় বলেই এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন টম ব্লানডেলকে (০)।

রিভিউ নিয়েছিলেন ব্লান্ডেল; কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কিউইদের সংগ্রহ ১৩৬/৫। টেইলর ৩২ ও রাচিন রবীন্দ্র ০ রানে ক্রিজে আছেন। নিউজিল্যান্ডের লিড দাঁড়িয়েছে মাত্র ৬ রান।

এর আগে তাসকিন আহমেদের বলে আউট হয়ে ফেরেন টম ল্যাথাম (১৪)। আর প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান ডেভন কনওয়েকে তুলে নেন ইবাদত হোসেন। ১৩ রান করে সাদমানের হাতে ধরা পড়েন কনওয়ে।

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছিলেন ১৫০ রানের লিড চান তিনি। কাছাকাছি যেতে পেরেছে বাংলাদেশ। মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের প্রথম ইনিংসে সবকটি উইকেট হারিয়ে টাইগারদের সংগ্রহ ৪৫৮ রান। তাতে ১৩০ রানের লিড পায় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ৩২৮ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড।

তৃতীয় দিনের শেষ বিকালে মেহেদী হাসান মিরাজ ও ইয়াসির আলী রাব্বির দৃঢ়তায় চারশ’ ছাড়ায় বাংলাদেশের দলীয় ইনিংস। দিন শেষে ৩১ রানের জুটিতে অবিচ্ছিন্ন ছিলেন দুজন। মিরাজ ২০ ও ইয়াসির ১১ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।

চতুর্থ দিনের সকালেও দারুণ লড়াই করলেন তারা। দলীয় ৪৪৫ রানে আউট হন মিরাজ। তিন রানের জন্য অর্ধশত মিস করেন তিনি। পাঁচ রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন ইয়াসির রাব্বিও (২৬)। দলীয় ৪৫৮ রানের মাথায় শেষ দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদ ৫ ও শরীফুল ইসলাম ৭ রান করে আউট হন।

নিউজিল্যান্ডের পক্ষে বোল্ট ৪টি, ওয়াগনার ৩টি, টিম সাউদি ২টি এবং কাইল জেমিসন নেন এক উইকেট।

এর আগে বোলারদের নৈপুণ্যে নিউজিল্যান্ডকে ৩২৮ রানে বেঁধে ফেলে বাংলাদেশ। বাঁহাতি পেসার শরীফুল ইসলাম ও অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ৩টি করে উইকেট নেন। অধিনায়ক অকেশনাল স্পিনার মুমিনুল হক সৌরভের শিকার ২ উইকেট।