ইতালিতে প্রায় ৬ লাখ অভিবাসীকে বৈধতা দেয়া নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৮ অনুচ্ছেদ একটি খসড়া আইন তৈরির প্রস্তুতি নিয়েছেে দেশটির সরকার।
নিয়ম অনুসারে প্রথমে এক বছরের জন্য এ স্টে-পারমিট দেয়া হবে, পরে একটি চুক্তিভিত্তিক কাজের মাধ্যমে এ পারমিট নবায়ন করা যাবে। এটি বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসসহ অন্য কারণে এ বৈধতা দেয়ার কথা ভাবছেন ইতালি।
তবে অভিবাসীদের এ বৈধতা দেয়ার ব্যাপারে বিরোধী দল বাধা সৃষ্টি করতে পারে বলে আশংকা করছেন ক্ষমতাসীনরা।
এর আগেও নাগরিকরত্ব আইন শিথিল করার চেষ্টা করলে বিরোধী দলের তোপের মুখে পড়ে তা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে অভিবাসীদের এ বৈধতা নিয়ে দেশটিতে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে বিরোধী দলের মধ্যে।
অন্যদিকে দেশটির অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ করে নিতে খুব গোপনীয়তার সঙ্গে ১৮ অনুচ্ছেদ তৈরির কাজ এগুচ্ছে। অনেকগুলো কারণে এবার অভিবাসীদের এই বৈধতা দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে ইতালিতে।
করোনার প্রাদুর্ভাবে অনেক অভিবাসী স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণে দেশটি থেকে চলে গেছে। এর ফলে কৃষি, শ্রম, অর্থনীতি, বিচার ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের মধ্যে বৈধতা দেয়ার পক্ষে মতামত দিয়েছে।
এদিকে এক প্রতিবেদনে কৃষিমন্ত্রী টেরেসা বেলানোভা বলেছেন, ইতালিতে অনিয়মিত অভিবাসীা প্রায় ৬ লাখ এবং তারা অল্প বেতনে চাকরি করে বসবাস করছেন এবং অমানবিকভাবে তাদের শোষণ করা হচ্ছে।
সরকারি ঘোষণা হলে অভিবাসী অফিসের (প্রেফেত্তুরা) মাধ্যমে কাগজপত্র জমা নেয়া শুরু করবে। ক্ষমতাসীন জোট সরকারের শরীক দল ডেমোক্রেটিক পার্টির অন্যতম প্রভাবশালী নেতা মার্কো মিন্নিতি স্থানীয় গণমাধ্যমে সাক্ষাতকারে বলেন,অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ দিয়ে আমরা শুধু তাদেরই উপকার করছি না বরং দেশের আপামর জনগণের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করছি। একইসঙ্গে কৃষিতে জনবল সংকট দূর হবে।
এ ব্যাপারে সাবেক বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকী বাচ্চু বলেন, অনিয়মিত অভিবাসীদের নিয়মিত করতে সংসদে বেশ জুড়ালো আলোচনা হচ্ছে। ইতালির মন্ত্রিপরিষদ একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে খুব শীগগীরই প্রায় ৬ লাখ লোকের স্টে-পারমিট দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
একটি চুক্তিভিত্তিক কাজের মাধ্যমে এই পারমিট দেয়া হবে। তবে কবে নাগাদ এ চূড়ান্ত ঘোষণা আসবে তা এখনো নিশ্চিত নয়।
এমজে/
