করোনার তাণ্ডবে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু ছাড়াল ৬১ হাজার

করোনার তাণ্ডবে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু ছাড়াল ৬১ হাজার

যু্ক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭২ জন।

অপরদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬১ হাজার ৬৬৯ জন। এছাড়া দেশটিতে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লাখ ৪৭ হাজার ৪১১ জন।

করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুতে এখন পর্যন্ত শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য। অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের চেয়ে সেখানেই আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার দেশটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ হাজার ৩৮৮ এবং মারা গেছেন ২ হাজার ৪৯৮ জন।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, নিউইয়র্কে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৬ হাজার ১৫৮ এবং মারা গেছে ২৩ হাজার ৪৭৪ জন। এরপরেই রয়েছে নিউ জার্সি। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ১৬ হাজার ২৬৪ এবং মৃত্যু ৬ হাজার ৭৭০।

 

অপরদিকে ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ হাজার ২৬৫ এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৪০৫ জনের, ইলিনয়েসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ হাজার ২৬৫ এবং মৃত্যু ৩ হাজার ২ হাজার ২১৫।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮ হাজার ৫৬৫। ওই অঙ্গরাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১ হাজার ৯৩৯ জন।

মহামারি করোনাভাইরাসের ছোবলে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ লাখ ২৮ হাজার ২১৫ জন। এছাড়া এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৩২ লাখ ২০ হাজার ১৪৮ জনের শরীরে।

আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ লাখ ৩০৩ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ১৯ লাখ ৯১ হাজার ৬৩০ জন। এদের মধ্যে ১৯ লাখ ৩১ হাজার ৮১৯ জনের শরীরে মৃদু সংক্রমণ থাকলেও ৫৯ হাজার ৮১১ জনের অবস্থা গুরুতর।

ডিসেম্বরে চীনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া গেলেও বাংলাদেশে ভাইরাসটি শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। ওইদিন তিন জন করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা অনেকটাই সমান্তরাল ছিল। কিন্তু এরপর থেকে হুট করেই বাড়তে থাকে রোগীর সংখ্যা।

তবে ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য মার্চেই ব্যবস্থা নেয় সরকার। বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। পঞ্চম দফায় বাড়িয়ে সেই ছুটি করা হয়েছে আগামী ৫ মে পর্যন্ত।

শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের পদক্ষেপ অনেকটা এ রকমই। তবে এর মাঝেও কিছু কিছু দেশ তাদের দেয়া লকডাউন কিছুটা শিথিল করছে। স্পেন, জার্মানি ও ভারত সেই পথে হেঁটেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইতালিও তেমনটাই ভাবছে।

এমজে/