চীনের বিরুদ্ধে আবারো ট্রাম্পের ক্ষোভ, ‘যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক নৈরাশ্য ও হতাশার’

চীনের বিরুদ্ধে আবারো ট্রাম্পের ক্ষোভ, ‘যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক নৈরাশ্য ও হতাশার’

আবারো চীনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তিনি করোনা ভাইরাস সংক্রমণকে পার্ল হারবার হামলার চেয়েও খারাপ বলে আখ্যায়িত করেছেন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ককে নৈরাশ্য ও হতাশার বলে বর্ণনা করেছেন হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি কেলি ম্যাকইনানি। করোনা ভাইরাস ইস্যুতে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে যে কি গভীর ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে বুধবার তা বোঝাতে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি ও নিউ স্ট্রেইটস টাইমস।

এতে বলা হয়, ট্রাম্প বলেছেন, পার্ল হারবার হামলার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে টেনে নেয়া হয়। সেই পার্ল হারবার হামলার চেয়ে এই হামলা (চীনের করোনা ভাইরাস ইস্যু) আরও খারাপ। ২০০১ সালের ৯/১১ তে নিউ ইয়র্কে সন্ত্রাসী হামলার চেয়েও খারাপ। এটা কখনো হওয়া উচিত ছিল না।

এটাকে উৎসেই থামিয়ে দেয়া যেত। চীনেই এটাকে (করোনা ভাইরাস) থামিয়ে দেয়া যেত। উৎসেই এটাকে থামিয়ে দেয়া উচিত ছিল। কিন্তু তা করা হয় নি।

ওদিকে বুধবার হোয়াইট হাউজে বুধবার কথা বলেছেন প্রেস সেক্রেটারি কেলি ম্যাকইনানি। এতে করোনা ভাইরাসের উৎস নিয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান সাংঘর্ষিক অবস্থা নিয়ে কথা বলেন তিনি। এই ভাইরাসের কারণে শুধু যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেছেন কমপক্ষে ৭০ হাজার মানুষ। এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পূর্বাভাস দিয়েছিলেন যে, এই ভাইরাসে শুধু যুক্তরাষ্ট্রে এক লাখ মানুষ মারা যেতে পারেন। এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে মারা গেছেন আড়াই লাখ মানুষ। এমন অবস্থায় সংবাদ সম্মেলনে ম্যাকইনানি বলেন, ঠিক এই মুহূর্তে সম্পর্কটা (যুক্তরাষ্ট্র-চীন) নৈরাশ্যের ও হতাশার। কারণ, চীন এই ভাইরাস সম্পর্কে তথ্য লুকোচুরি করেছিল। চীনের কিছু সিদ্ধান্তে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কতটা হতাশাগ্রস্ত তা তিনি বলেছেন। চীনের ওই সিদ্ধান্তে মার্কিনিদের জীবন ঝুঁকিতে পড়েছে। তবে এ বিষয়ে ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনের দূতাবাস তাৎক্ষণিক কোন মন্তব্য করে নি।

এমজে/