স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হার্ড ইমিউনিটি তৈরি উদ্দেশ্য হলে পরিণতি ভয়ঙ্কর! মৃত্যু বহুগুণে বেড়ে যাবে। টিকা বরং নিরাপদ ও কার্যকরী উপায়। বলছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড–১৯ টেকনিক্যাল হেড মারিয়া ভ্যান কারখোভে। জুন থেকেই লকডাউন শিথিল করে এনেছে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ।
কারখোভে বলছেন, অন্তত ৬৫–৭০% মানুষের শরীরে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হওয়া প্রয়োজন। আর সেই জায়গায় পৌঁছতে হলে গ্রাম–শহর নির্বিশেষে সমস্ত বয়সের মানুষের শরীরে টিকা প্রয়োগ করে ইমিউনিটি তৈরি করা জরুরি।
স্বাভাবিকভাবে হার্ড ইমিউনিটি তৈরির চেষ্টা করে করোনা মোকাবিলা করতে চেয়েছে সুইডেন। বাইরে বেরনো ও জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও মানুষ রাস্তায় বেরিয়েছেন। দোকানপাট, স্কুল–কলেজ–রেস্তরাঁ খোলা ছিল সেখানে।
কিন্তু একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, এপ্রিলের শেষে মাত্র ৭.৩% মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, সংক্রমিত ব্যক্তির শরীরে যদি নিজে থেকেই হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়, সেক্ষেত্রে আঞ্চলিক স্তরে হার্ড ইমিউনিটির সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। বরং টিকা প্রয়োগে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা অনেক সহজ।
এমজে/