নিরাপদ প্রমাণিত না হলে করোনাভাইরাসের কোনো টিকার অনুমোদন নয়: ডব্লিউএইচও

নিরাপদ প্রমাণিত না হলে করোনাভাইরাসের কোনো টিকার অনুমোদন নয়: ডব্লিউএইচও

নিরাপদ এবং কার্যকর প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত করোনাভাইরাসের কোনো টিকার অনুমোদন দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। শুক্রবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক টেদ্রোস আধানম গেব্রেয়াসুস।

গ্লোবাল নিউজসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর টিকা আবিষ্কারে ‍অনেক দেশই কাজ করছে। এরই মধ্যে রাশিয়া এবং চীন বৃহৎ আকারে টিকার কার্যকারিতা পরীক্ষা (চূড়ান্ত ট্রায়াল) ছাড়াই প্রাথমিকভাবে টিকার ব্যবহার শুরু করে দিয়েছে। দেশ দুটিতে টিকা নিতে আগ্রহীদের যথেষ্ট সাড়াও পাওয়া গেছে।

টিকার ‘চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষায় যথেষ্ট সংখ্যক মানুষের’ স্বেচ্ছায় অংশ নেওয়ার বিষয়টিকে স্বাগত ‍জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সেইসঙ্গে সংস্থাটি এও বলেছে, চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল পেতে আরও সময় লাগবে এবং হয়তো একটি কার্যকর ও নিরাপদ টিকা হতে পেতে আগামী বছরের মাঝামাঝি সময় লেগে যাবে।

ডব্লিউএইচও-র মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস বলেন, ‘বাস্তবসম্মত সময়ের নিরিখে আমরা সত্যিই আগামী বছরের মাঝামাঝির আগে বিশ্বজুড়ে একটি কার্যকর ও নিরাপদ টিকা দেখতে পাওয়ার আশা করতে পারি না।’

তবে শুধু টিকা আবিষ্কার হলেই সংকটের সমাধান হবে না, বরং সেটি বিশ্বের সব মানুষের হাতে নাগালে পৌঁছাতে হবে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের সাধারণ ‍অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট তিজ্জানি মুহাম্মদ-বন্দে।

তিনি বলেন, ‘যদি মাত্র একটি দেশ এই সংকট থেকে বেরিয়ে যেতে পারে, তার অর্থ বাকি বিশ্বকে তখনও করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকট মোকাবেলা করতে হবে। এজন্য সবার অন্তর্ভুক্তি চাই, এটাই ‍মূল চাবিকাঠি।’

‘এরই মধ্যে যারা পেছনে পড়ে গেছে তাদের যদি অন্তর্ভুক্ত করা না যায়, তাদের দুর্ভোগ যদি ‍অব্যাহত থাকে তবে এ ধরনের সংকটের ক্ষেত্রে শান্তি ফেরার কোনো নিশ্চয়তা আমরা দিতে পারি না’, যোগ করেন জাতিসংঘের সাধারণ ‍অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট তিজ্জানি মুহাম্মদ-বন্দে।