সীমান্তে মিয়ানমারের সৈন্য মোতায়েনের কারণ কী?

সীমান্তে মিয়ানমারের সৈন্য মোতায়েনের কারণ কী?

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে সপক্ষত্যাগী দুই সৈনিকের মতো অন্য সৈন্যদের মুখ খোলা ঠেকাতে মিয়ানমার বাংলাদেশ সীমান্তে সৈন্য মোতায়েন করেছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তারা আরো মনে করেন, এর নেপথ্যে মিয়ানমারের আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে সামরিক বাহিনীর শক্তিপ্রদর্শনও একটি কারণ। তবে বিশ্লেষকরা এ ঘটনায় কেবল সে দেশের রাষ্ট্রদূতকে প্রতিবাদ জানানোকে যথেষ্ট মনে করছেন না।

রাখাইনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, গত ১১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের সেন্টমার্টি দ্বীপ থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে রাখাইনের ইন ডিন গ্রামের উপকূলে ভেড়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর লজিস্টিক শিপ। সেখান থেকে মাছ ধরার ট্রলারে চড়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাজার খানেক সদস্য বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে আসে।

তারা নাফ নদীর তীর, মংডু ১ নম্বর জেটি এবং কানিং চং এ নির্মাণাধীন অর্থনৈতিক অঞ্চলে অবস্থান নেয়। নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের ধারণা, এর নেপথ্যে সম্প্রতি হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দুই সদস্যের সপক্ষত্যাগ করে গণহত্যার তথ্য ফাঁস করার ঘটনা এবং সেদেশের আসন্ন নির্বাচনের বিষয়টি কাজ করেছে।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) মো. এমদাদুল ইসলাম বলেন, ‘ঐ পুরানো সৈন্যগুলো এখনও সিটওয়েতে, আরাকান স্টেটে তারা আছে। সেখান থেকে তাদের সরিয়ে না নিলে হয়তো আরো সৈন্য দল ত্যাগ করতে পারে।'

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘নির্বাচনের আগে তারা দেখাতে চাইছে তারা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের কথা তোয়াক্কা করছে না।’

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ মনে করেন, বাংলাদেশের উচিত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও ফোরামে প্রকৃত চিত্র তুলে ধরে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জন্য বিশেষ এলাকা, প্রতিষ্ঠান এবং মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপের দাবির পক্ষে জনমত গড়ে তোলা।

তবে, নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই মুহূর্তে দু’দেশের মধ্যে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।