চীনে বিবিসি নিষিদ্ধ করায় যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা

চীনে বিবিসি নিষিদ্ধ করায় যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা

চীনে বিবিসি নিষিদ্ধ করায় পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর চীনের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেছে, এটি ‘গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের বৃহৎ পরিকল্পনারই অংশ’।

চীন ক্যাবল টিভির পাশাপাশি ইন্টারনেটেও বিবিসি নিষিদ্ধ করেছে। খবর আনাদোলুর।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইজ বৃহস্পতিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে চীনের এ পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছেন।

যুক্তরাজ্য চীনের ইংরেজি ভাষার টেলিভিশন চ্যানেল সিজিটিএনের সম্প্রচার লাইসেন্স বাতিল করার সপ্তাহখানেকের মাথায় পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে বিবিসির সম্প্রচার নিষিদ্ধ করল বেইজিং।

করোনাভাইরাস মহামারি ও উইঘুর সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের যেসব প্রতিবেদন সাম্প্রতিক সময়ে বিবিসি প্রকাশ করেছে, সেগুলোর সমালোচনা করে চীন এই সম্প্রচার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

এদিকে বিবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজের সম্প্রচার নিষিদ্ধ করার চীনের এ পদক্ষেপকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ‘খর্ব করার অগ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে যুক্তরাজ্য। খবর বিবিসির।

আইন ভঙ্গের অভিযোগে যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রক সংস্থা চীনের ইংরেজি ভাষার টেলিভিশন চ্যানেল সিজিটিএনের সম্প্রচার লাইসেন্স বাতিল করে।

চীনের চলচ্চিত্র, টেলিভিশন ও বেতার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ বলেছে, বিবিসির প্রতিবেদনে চীনের সম্প্রচার নীতিমালার ‘মারাত্মক লঙ্ঘন’ ঘটেছে।

ওই নীতিমালায় বলা হয়েছে– ‘সংবাদ হতে হবে সত্য ও নিরপেক্ষ, চীনের জাতীয় স্বার্থের জন্য তা ক্ষতিকর হওয়া চলবে না’। সেই শর্ত পূরণে বিবিসির ওই প্রতিবেদন ব্যর্থ হয়েছে বলে চীনের ভাষ্য।

এর প্রতিক্রিয়ায় বিবিসি এক বিবৃতিতে বলেছে, চীন সরকারের সিদ্ধান্তে তারা ‘হতাশ’।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব চীনের পদক্ষেপের সমালোচনা করে একে ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার অগ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

এমজে/