তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে নিহত ১১, কেন্দ্রের রিপোর্ট তলব

তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে নিহত ১১, কেন্দ্রের রিপোর্ট তলব

নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর পশ্চিমবঙ্গ যেন রণক্ষেত্র। রোববার রাত এবং সোমবার সারাদিন মিলিয়ে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ১১ জন রাজনৈতিক কর্মী। অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাটের ঘটনা বহু। উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে।

আজ মঙ্গলবার পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রতাপ নাড্ডা। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব, ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে ডেকে রাজভবনে বৈঠক করেছেন। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনতার কাছে আবেদন জানিয়েছেন, সবাইকে সংযত থাকার জন্য।

তারকেশ্বরে পরাজিত বিজেপি প্রার্থী স্বপন দাসগুপ্ত অভিযোগ করেছেন যে, বীরভূমের নানুরে হিন্দুরা আক্রান্ত হচ্ছেন। বিজেপি জানিয়েছে, তাদের ছ’জন কর্মী তৃণমূলের আক্রমণে মারা গেছে।

তৃণমূলের দাবি, তাদের ৪ জন কর্মী মারা গেছেন বিজেপির আক্রমণে। উত্তর চব্বিশ পরগনার দেগঙ্গায় নিহত হয়েছে এক আইএসএফ কর্মী। কলকাতার কাঁকুড়গাছিতে বিজেপি সমর্থক অভিজিৎ সরকারকে পিটিয়ে মারার পর বিজেপি কর্মী ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে মা শোভারানি মন্ডল নিহত হন জগদ্দলে। নবগ্রামে ও শীতলকুচিতে নিহত হয় উত্তম ঘোষ ও মানিক বৈদ্য নামের ২ বিজেপি সমর্থক। কাকলি ক্ষেত্রপাল নামের এক বিজেপি কর্মীও খুন হয়। জয়বাংলা ধ্বনি দেয়ার অপরাধে খুন করা হয় ২ তৃণমূল সমর্থক সাজু সাহা এবং বিভাস বাগকে। খুন হন দেবু প্রামানিক নামের এক তৃণমূল কর্মী।

এছাড়াও আগুন, লুটতরাজের ঘটনা ঘটছেই। বিপুল জয়ের পর তৃণমূল সুপ্রিমো রাজধর্ম পালনের আবেদন জানিয়েছেন।

এমজে/