কাবুলে শেষ ড্রোন হামলায় নিজেদের লোককেই মেরেছে যুক্তরাষ্ট্র

কাবুলে শেষ ড্রোন হামলায় নিজেদের লোককেই মেরেছে যুক্তরাষ্ট্র

কাবুল বিমানবন্দরে হামলা চালাতে যাওয়ার সময় আত্মঘাতী হামলাকারীদের গাড়ি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এতে আত্মঘাতী হামলাকারীরা নিহত হয়েছিল বলেও দাবি করেছিল দেশটি।

কিন্তু পরবর্তীতে নিউইয়র্ক টাইমসের ভিডিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, আইএস জঙ্গি নয়, মার্কিন ড্রোন সোজা গিয়ে তাদের নিজেদের লোকের ওপর আঘাত হেনেছে! এ ঘটনায় বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে বাইডেন প্রশাসন।

২৬ আগস্ট কাবুল বিমানবন্দরে ভয়াবহ হামলা হয়। আত্মঘাতী এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ জন মেরিন সেনাসহ ১৭০ জনের বেশি নিহত হয়। আইএস খোরাসান শাখা এই হামলার দায় স্বীকার করে।

হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রতিশোধের ঘোষণা দিয়ে বলেছিলেন, এই হামলার পেছনে যারা রয়েছে তাদের খুঁজে বের করা হবে। তাদের চরম মূল্য দিতে হবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় নিহত আইএস সদস্য বিমানবন্দরে হামলার পরিকল্পনাকারী কি না মার্কিন সেনাবাহিনী সেটা তখন স্পষ্ট করা হয়নি।

কিন্তু সপ্তাহ পার হতেই জানা গেল, যে আইএস সদস্য নিহত হওয়ার দাবি জানিয়েছিল আমেরিকা, তিনি বহাল তবিয়তে আছেন। উল্টো ড্রোন হামলায় মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রেরই এক সহযোগী আফগানের।

সংবাদ সংস্থা এএফপিকে কাবুলের বাসিন্দা আইমল আহমেদি জানিয়েছিলেন, ‘আমেরিকার ড্রোন হামলায় আমার ভাই এজমারাই আহমেদির মৃত্যু হয়েছে। আমার ছোট মেয়ে, ভাগ্নে, ভাগ্নীও ড্রোন হামলায় প্রাণ হারিয়েছে। হামলার সময় এজমারাই গাড়ি চালাচ্ছিল।’

এএফপি জানিয়েছে, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এজমারাই আহমেদি ক্যালিফোর্নিয়ার একটি সংস্থায় চাকরি করতেন। আফগান পরিস্থিতি অশান্ত হওয়ার পর অন্য হাজারো আফগানের মতো এজমারাইও যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের অনুমতি চেয়েছিলেন।

ভিডিও বিশ্লেষণটি সামনে আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের ওই ড্রোন হামলা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। পাশাপাশি একাধিক বিস্ফোরণের যে তত্ত্ব দিচ্ছেন মার্কিন সেনা কর্মকর্তারা, তা নিয়েও বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমসের এ ভিডিও বিশ্লেষণ।

এমজে/