দক্ষিণ আফ্রিকার সতর্কতার আগেই ইউরোপে ছিল ওমিক্রন

দক্ষিণ আফ্রিকার সতর্কতার আগেই ইউরোপে ছিল ওমিক্রন

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্তের বিষয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা যখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও) সতর্কবার্তা পাঠায়, তার আগে থেকেই ইউরোপে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব ছিল। ফলে ওমিক্রনের আসল উৎপত্তিস্থল কোথায় তা নিয়ে এখন ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় দুই ডজন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে উদ্বেগজনক এই ভাইরাস।

গত ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমবারের মতো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্তের বিষয়ে সতর্ক করে। অবশ্য তখন এর কোনো আনুষ্ঠানিক নাম ছিল না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসের এই ধরনটি অন্তত ৩২টি মিউটেশন (জিনগত গঠনের পরিবর্তন) ঘটিয়েছে। ফলে ওমিক্রন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রচলিত টিকাগুলো কার্যকর না-ও হতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এ অবস্থায় আফ্রিকান দেশগুলোর ওপর অনেকটা গণহারে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইউরোপ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও অনেক দেশ। তাদের এই পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও পরিস্থিতি বিবেচনায় বুঝেশুনে সিদ্ধান্ত নিতে আহ্বান জানিয়েছে।

তবে মঙ্গলবার ডাচ (৩০ নভেম্বর) কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা ডব্লিউএইচও’কে সতর্ক করার সপ্তাহখানেক আগেই নেদারল্যান্ডসে করোনার ওমিক্রন ধরন পাওয়া গিয়েছিল।

নেদারল্যান্ডসের আরআইভিএম ন্যাশনাল হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, তারা গত ১৯ ও ২৩ নভেম্বর নেওয়া দুটি নমুনায় ওমিক্রন করোনাভাইরাস শনাক্ত করেছেন।

এর আগে ধারণা করা হচ্ছিল, নেদারল্যান্ডসে প্রথম ওমিক্রন পৌঁছায় গত শুক্রবার (২৬ নভেম্বর)। সেদিন দক্ষিণ আফ্রিকাফেরত দুটি ফ্লাইটের ১৪ যাত্রীর শরীরে এই ভাইরাস শনাক্তের কথা জানিয়েছিল ডাচ কর্তৃপক্ষ। তবে নতুন ঘোষণা অনুসারে, এর আগেই ইউরোপীয় দেশটিতে করোনার নতুন ধরন উপস্থিত ছিল।