ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া ও চেরনোবিল পরমাণু কেন্দ্রের পর্যবেক্ষণ সিস্টেম বিচ্ছিন্ন

ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া ও চেরনোবিল পরমাণু কেন্দ্রের পর্যবেক্ষণ সিস্টেম বিচ্ছিন্ন

ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া পরমাণু কেন্দ্রের দূর পর্যবেক্ষণ সিস্টেম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক সংস্থা। গত সপ্তাহে ওই পরমাণু কেন্দ্রটির দখল নেয় রাশিয়ার সেনারা। এটি দখল করতে গিয়ে সেখানে গোলা ছুঁড়ে রুশ সেনারা, এতে ওই কেন্দ্রটির বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন ধরে যায়। এখন জাতিসংঘের ওয়াচডগ আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা বা আইএইএ জানিয়েছে ওই কেন্দ্রের পারমাণবিক উপাদান পর্যবেক্ষণের সিস্টেম বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এর একদিন আগেই আইএইএ জানিয়েছিল, ১৯৮৬ সালে চেরনোবিলের যে কেন্দ্রে ইতিহাসের সবথেকে ভয়াবহ পরমাণু বিপর্যয় ঘটেছিল সেটির পর্যবেক্ষণ সিস্টেমও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

বর্তমানে উভয় কেন্দ্রই রুশ সেনাদের নিয়ন্ত্রণে। তবে এগুলো পরিচালনা করছেন ইউক্রেনীয় কর্মীরাই। এক বিবৃতিতে আইএইএ’র প্রধান রাফায়েল গ্রোসি জানান, এই দুই পরমাণু কেন্দ্র থেকে হঠাত করে তথ্য পাওয়া বন্ধ হওয়ায় তিনি উদ্বিগ্ন। কারণ সেখানে ব্যাপক পরিমাণে পারমাণবিক উপাদান বিভিন্ন অবস্থায় মজুদ রয়েছে।

তবে কী কারণে এই সিস্টেম বিচ্ছিন্ন হয়েছে তা এখনো বুঝা যাচ্ছে না। ইউক্রেনের অন্য পরমাণু কেন্দ্র থেকে তথ্য প্রবাহ অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে জাপোরিঝিয়া পরমাণু কেন্দ্রের অপারেটর আইএইএ-কে জানিয়েছেন, কেন্দ্রের ৪টি উচ্চ ভোল্টেজের পাওয়ার লাইনের মধ্যে দুটিই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যদিও ওই কেন্দ্রে শুধু একটি পাওয়ার লাইন থাকলেই যথেষ্ট। গত ৪ মার্চ রাশিয়া ওই কেন্দ্রে হামলা চালায়। সেসময় পরমাণু কেন্দ্রের কুলিং সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্থ হলে, সেটি মেরামতের কাজ শুরু হয়। আইএইএ বলছে, এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে ইউক্রেনের পরমাণু কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। এরইমধ্যে পরমাণু কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে ইউক্রেন ও রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন গ্রোসি।

এমজে/