মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, রাশিয়া যদি রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে, তাহলে পশ্চিমা বিশ্ব সামরিকভাবে তার উপযুক্ত জবাব দেবে।
ব্রাসেলসে ন্যাটো সদর দপ্তরে ন্যাটো ও গ্রুপ অব সেভেন-এর শীর্ষ বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন জো বাইডেন। খবর ভয়েস অব আমেরিকার।
সংবাদ সম্মেলনের সময়ে একজন গণমাধ্যমকর্মীর প্রশ্নের জবাবে জো বাইডেন বলেন, ‘আপনারা এ কথা জানতে চান কিংবা চান না যে, ন্যাটো কি (রুশ বাহিনীর মোকাবিলা করতে ইউক্রেনে) প্রবেশ করবে? সে সিদ্ধান্ত আমরা সে সময় নেব।’
ন্যাটোর সদর দপ্তরে জো বাইডেন আরও বলেন, রাশিয়াকে প্রধান অর্থনীতি সমৃদ্ধ ২০ জাতিগোষ্ঠীর জোট থেকে সরিয়ে ফেলা উচিত এবং ইউক্রেনকে জি-টুয়েন্টির বৈঠকে যোগ দিতে দেওয়া উচিত। ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার আক্রমণের এক মাস পূর্তির দিনে এ প্রসঙ্গটি বিশ্বের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের সময়ে উত্থাপন করা হয় বলে বাইডেন জানান।
যখন জানতে চাওয়া হয় যে, রাশিয়ার সঙ্গে অস্ত্রবিরতি করার জন্য ইউক্রেনকে তার কোনো অঞ্চল ছেড়ে দিতে হবে কি না, তার জবাবে বাইডেন বলেন, ‘আমার তো মনে হয় না তাদের সেটা করতে হবে। তবে সে সিদ্ধান্ত ইউক্রেনই নিতে পারে।’
সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘ইউক্রেন যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত লাখ লাখ ইউক্রেনীয়কে ত্রাণ দেওয়ার জন্য’ মানবিক সাহায্য বাবদ ১০০ কোটি ডলারের বেশি প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘পরিবারদের পুনর্মিলনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে’ যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনিয়ার এক লাখ মানুষকে স্বাগত জানাবে। এবং ইউক্রেন ও প্রতিবেশী দেশগুলোতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা অব্যাহত রাখা এবং মানবাধিকার সুরক্ষার জন্য ৩২ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ন্যাটো প্রতিরক্ষা জোটটি তার সক্ষমতা বৃদ্ধি করার ঘোষণা দেয়। জোটের শীর্ষ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি ভাষণ দেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি কোনো রকম সীমাবদ্ধতা না রেখে তাঁর দেশকে আরও অস্ত্র দিতে ন্যাটো’র নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
জেলেনস্কির এ আবেদন এমন এক সময় এলো, যখন রুশ আক্রমণের বিরুদ্ধে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি ব্যবস্থা নিয়ে জো বাইডেন ন্যাটো নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।