প্রথমবার চীনা ড্রোন লক্ষ্য করে গুলি চালালো তাইওয়ান

প্রথমবার চীনা ড্রোন লক্ষ্য করে গুলি চালালো তাইওয়ান

ঢিলের জবাব এবার পাটকেলে । তার আকাশসীমায় উড়ন্ত চীনা ড্রোনগুলি শনাক্ত করার কয়েক সপ্তাহ পরে প্রথমবারের মতো, তাইওয়ান একটি চীনা ড্রোন লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মোট তিনটি "বেসামরিক ড্রোন" তাইওয়ানের কুইমোয় দ্বীপপুঞ্জের উপরে আকাশে তিনটি ভিন্ন অবস্থানের উপর দিয়ে উড়েছে, যা কিনমেন নামেও পরিচিত। বারবার সতর্কীকরণের পরও ফুজিয়ান প্রদেশের মূল ভূখণ্ডের শহর জিয়ামেন থেকে মাত্র ৪ কিমি দূরে একটি উপকূলীয় দ্বীপ এরদানের উপর দিয়ে একটি ড্রোন আবার উড়ে যায়। তাইওয়ান সেনাবাহিনী তখন ফিরে আসা ড্রোনটিকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য গুলি চালায়, যা আকাশসীমা ছেড়ে জিয়ামেনের দিকে উড়ে যাচ্ছিলো । ড্রোনের উপর গুলি চালানোর সিদ্ধান্তটি নেন তাইওয়ানের রাষ্ট্রপতি সাই ইং-ওয়েন।

তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন , আকাশসীমার সুরক্ষার জন্য "প্রয়োজনীয় এবং শক্তিশালী পাল্টা ব্যবস্থা" গ্রহণ করবে তাইওয়ান। এর আগেও চীনকে ‘জবাব’ দিতে দেখা গিয়েছে তাইওয়ানকে। চীনের যুদ্ধবিমানের টহলদারির জবাবে পালটা তারাও যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে। কিন্তু এমন কড়া জবাব এই প্রথম।

এককথায় চীনের আগ্রাসনকে যে তারা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করবে না তা পরিষ্কার বুঝিয়ে দিল তাইওয়ান। যদিও চীন এই বিষয়ে এখনও মুখ খোলেনি। তবে চীনা ড্রোনের তাইওয়ানের ভূখণ্ডে চক্কর কাটার যে দাবি তা সোমবারই উড়িয়ে দিয়েছিল বেজিং।

মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর থেকেই প্রচণ্ড আগ্রাসী হয়ে উঠেছে চীন । যুদ্ধের আশঙ্কা উসকে স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্রটিকে ‘অবরোধ’ করে সামরিক মহড়া শুরু করে লালফৌজ। তাইওয়ান বারবার রিপোর্ট করেছে যে চীনের ড্রোনগুলি তাইওয়ান প্রণালী বরাবর চক্কর চালাচ্ছে। ড্রোন ছাড়াও, চীনের সামরিক বাহিনী H-6K বোমারু বিমান এবং এরিয়াল ট্যাঙ্কার পাঠিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ অধিকাংশ দেশ তাইওয়ানকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। কিন্তু অনেক পশ্চিমা সরকার বলপ্রয়োগ করে দ্বীপ দখলের যে কোনো প্রচেষ্টার বিরোধিতা করেছে। সূত্র : scmp.com