বেলারুশে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে রাশিয়া

বেলারুশে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে রাশিয়া

রাশিয়া প্রথমবারের মতো বেলারুশের একটি ঘাঁটিতে বিমান থেকে নিক্ষেপযোগ্য হাইপারসনিক ‘কিনঝাল’ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। খবর তাস, দ্য টেলিগ্রাফের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একটি স্যাটেলাইট ইমেজ প্রকাশ করেছে যেখানে দুটি রুশ যুদ্ধবিমান দেখা যায়, যার সঙ্গে একটি সুরক্ষিত কন্টেইনার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণ করা রয়েছে। ছবিটি, গত ১৮ অক্টোবর তোলা হয়েছিল।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ছবিটি মিনস্কের ঠিক বাইরে মাচুলিশ্চি এয়ারফিল্ডে কিনজল হাইপারসনিক মিসাইল ধারণকারী একটি মিগ-৩১কে জেট বিমানের। ‘ইউক্রেন যুদ্ধের সময় রাশিয়া মাঝে মাঝে এ অস্ত্রগুলো চালু করেছে, তবে মজুদ সম্ভবত খুব সীমিত।

ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, মিগ-৩১কে বিশেষভাবে ক্ষেপণাস্ত্র বহন করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল, যার রেঞ্জ এক হাজার ২০০ মাইলেরও বেশি। এটি মোতায়েন করা হয়েছে সম্ভবত পশ্চিমাদেরকে বার্তা দেওয়ার জন্য এবং বেলারুশকে যুদ্ধে ক্রমবর্ধমানভাবে জড়িত হিসাবে চিত্রিত করার জন্য।

মিনস্ক রাশিয়ান সেনাদের বেলারুশিয়ান অঞ্চলে অবস্থান করার অনুমতি দেয় এবং সেখান থেকে ইউক্রেনের ওপর হামলা চালায়, যদিও তারা জোর দেয় যে, তারা সরাসরি যুদ্ধে যোগ দিতে চায় না। গত মাসে, মিনস্ক এবং মস্কো বেলারুশিয়ান সীমান্ত রক্ষার জন্য একটি যৌথ বাহিনী ঘোষণা করেছে, যখন ইউক্রেন সতর্ক করেছে যে রুশ বিমান চলাচল ইউনিট তার সীমান্তে বেলারুশিয়ান ঘাঁটিতে মোতায়েন করছে।

কিনঝাল ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার অস্ত্রাগারের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অস্ত্র। ১০ ম্যাক (শব্দের চেয়ে ১০ গুণ বেশি) পর্যন্ত গতিতে পৌঁছতে সক্ষম অস্ত্রটি প্রচলিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে আটকানো অনেক কঠিন। এটি একটি ৫০০ কেজি বিস্ফোরক পেলোড বা একটি কৌশলগত পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন করতে পারে।