রাশিয়ার গ্যাস বন্ধের পর সংকটে মলদোভা, মাসের পর মাস ধরে বিক্ষোভ চলছে

রাশিয়ার গ্যাস বন্ধের পর সংকটে মলদোভা, মাসের পর মাস ধরে বিক্ষোভ চলছে

রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিপাকে পড়েছে মলদোভা। দেশটির পশ্চিমাপন্থী সরকার গত বছর থেকে একের পর এক রুশ বিরোধী অবস্থান নিয়ে চলেছে। অথচ দেশটির অর্থনীতি ব্যাপকভাবে রাশিয়ার ওপরে নির্ভরশীল। মলদোভার শত্রুতাপূর্ণ আচরণের জবাবে দেশটিতে গ্যাস সরবরাহ অর্ধেক করে দেয় মস্কো। এতে মলদোভার জ্বালানি সংকট এখন তুঙ্গে। বাজারে জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। দেশটির সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। প্রতিদিনই আন্দোলন, বিক্ষোভ চলছে।

বিবিসি জানিয়েছে, মলদোভার প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রায় সবটাই আসতো রাশিয়া থেকে। কিন্তু রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দেয়ায় বিপাকে পড়েছে দেশটি। রাশিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক যোগাযোগ সীমিত করতে গিয়ে নতুন সংকট সৃষ্টি করেছে মলদোভা সরকার।

যুদ্ধের কারণে বাজারে জিনিসপত্রের দাম এবং সেইসাথে ইউক্রেন থেকে দলে দলে শরণার্থীর চাপে দেশের ভেতর অস্থিরতা ও অসন্তোষ বাড়ছে।

এমন অবস্থায় মলদোভার বিরোধী দলগুলো পশ্চিমাপন্থী সরকারের পদক্ষেপের সমালোচনা তীব্র করেছে। বিরোধীদের দাবি, রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ভাল থাকলে আজকে মলদোভাকে এই সংকটে পড়তে হতো না। প্রতি সপ্তাহেই দেশজুড়ে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করছে বিরোধী দলগুলো। তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট মাইয়া সানডুর অভিযোগ রাশিয়াই দেশটিতে এই সংকট সৃষ্টি করছে।

তিনি বলেন, কেউ কেউ চাইছে মলদোভায় একটি পুতুল সরকার প্রতিষ্ঠিত হোক যারা চাকরের মত ক্রেমলিনের স্বার্থ রক্ষা করবে। রাশিয়া অবশ্য চক্রান্ত করার এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের কথা – মলদোভার সরকার তাদের নিজেদের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ব্যর্থতা থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে মনগড়া এসব গল্প ফাঁদছে।