গ্রেপ্তারের জন্য প্রস্তুত ইমরান খান, জামান পার্ক যেনো যুদ্ধের ময়দান

গ্রেপ্তারের জন্য প্রস্তুত ইমরান খান, জামান পার্ক যেনো যুদ্ধের ময়দান

একের পর এক পুলিশ সদস্য আহত হচ্ছেন। কারও কারও মাথা ফেটে রক্ত বের হচ্ছে। জবাবে বিক্ষোভকারীদের ওপরে চলছে টিয়ার গ্যাস হামলা। বিক্ষোভকারীরাও কম যায় না, ইট-পাথর যা পাচ্ছে তাই ছুঁড়ে মারছে পুলিশের ওপর। এতে ডিআইজিসহ মোট ৩০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। সব মিলিয়ে লাহোরের জামান পার্ক এলাকা এক যুদ্ধের ময়দানে পরিণত হয়েছে।

করাচিভিত্তিক গণমাধ্যম ডন জানিয়েছে, সাবেক পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করতে গেলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে লাহোরের জামান পার্ক এলাকা। সেখানে ইমরানকে বাঁচাতে জড়ো হন তার হাজার হাজার নেতাকর্মী। এক টুইট বার্তায় ইমরান নিজেই সমর্থকদের রাস্তায় নামার নির্দেশ দিয়েছেন। দেশের প্রধান শহরগুলোতে এখন হাজার হাজার পিটিআই নেতাকর্মী বিক্ষোভ শুরু করেছেন।

এদিকে কাতারের গণমাধ্যম আল-জাজিরাকে ইমরান জানিয়েছেন, তিনি গ্রেপ্তার হওয়ার জন্য প্রস্তুত আছেন। তার দাবি, তাকে সম্পূর্ণ বেআইনি প্রক্রিয়ায় গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।

তবে গ্রেপ্তার হওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত রয়েছেন তিনি। এমনকি তার বিরুদ্ধে আনা রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রির অভিযোগকে ‘বানোয়াট’ বলেছেন ইমরান খান।

যদিও বাড়িতে অবস্থান করার পরেও সমর্থকদের বাধার কারণে ইমরানকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। মঙ্গলবার সারাদিন ধরেই জামান পার্ক এলাকায় চাপা উত্তেজনা ছিল। দিন শেষে তা বিস্ফোরিত হয়। ওই হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনার মধ্যেই আল-জাজিরাকে বার্তা দেন ইমরান। এছাড়া কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশেও টুইটারে একটি ভিডিও আপলোড করেন তিনি।

আল-জাজিরাকে সাবেক এই পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইন অনুযায়ী ১৮ই মার্চ পর্যন্ত আমি জামিন পেয়েছি। কিন্তু চার দিন আগেই পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করেছে। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি প্রক্রিয়া। বুধবার সকালে আমার আইনজীবীরা আদালতে এ পরোয়ানা চ্যালেঞ্জ করবেন।

এদিকে ইমরানকে গ্রেপ্তার করতে না পেরে তার বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। এ ব্যাপারে ইমরান খান বলেন, বাড়ির সামনে এত পুলিশ এসেছে, মনে হচ্ছে পাকিস্তানের বড় একজন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করতে এসেছে তারা। তবে আমি গ্রেপ্তার হওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত রয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় পাওয়া উপহার রাষ্ট্রীয় তোশাখানায় জমা না দিয়ে বিক্রি করার অভিযোগে গত সোমবার ইসলামাবাদের একটি দায়রা আদালত ইমরান খানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আদালতের নির্দেশের পর এদিনই ইসলামবাদ পুলিশের একটি দল ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করতে লাহোরে এসে পৌঁছায়।