তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে জোর আলোচনা পাকিস্তানে

তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে জোর আলোচনা পাকিস্তানে

পাকিস্তানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে জোর আলোচনা। বর্তমান পার্লামেন্টের মেয়াদ আস্তে আস্তে শেষ প্রান্তে চলে আসায় তা আরো জোরালো হয়ে উঠেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে কিনা- আলোচনা তা নিয়ে নয়। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ ঘোষণা দিয়েছেন মেয়াদ শেষে তিনি ক্ষমতা তুলে দেবেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে। এ নিয়ে তিনি পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সহসভাপতি ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করেছেন। সেখানে পিপিপির পক্ষ থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে সরকারি অবসরপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তার পরিবর্তে একজন রাজনীতিককে এ পদে বসানোর সুপারিশ করা হয়েছে। পরে একই ইঙ্গিত দিয়েছেন পিপিপির সিনিয়র নেতা কমর জামান কাইরা। সোমবার তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে একজন রাজনীতিককে নিয়োগ দেয়া উচিত হবে। এ বিষয় নিয়ে এরই মধ্যে মিত্র দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। জিও নিউজের জিও পাকিস্তান প্রোগ্রামে কাইরা বলেন, জোটের শরিকদের সঙ্গে আলোচনার পর বিরোধী দলীয় নেতার সঙ্গে পরামর্শ করবেন প্রধানমন্ত্রী।

আগামী ১২ই আগস্ট মধ্যরাতে বর্তমান জাতীয় পরিষদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।

তা ভেঙে দেয়ার পর নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার জন্য ৯০ দিন সময় পাবে। এ সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠা করতে হবে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তা নিয়েই এখন দৌড়ঝাঁপ চলছে। পিপিপির সিনিয়র ওই নেতা বলেছেন, রাজনৈতিক দায়িত্ব রাজনীতিকদের দিয়েই পরিচালনা করা উচিত। যদি এ পদে একজন বিচারপতি, একজন জেনারেল, আমলা, টেকনোক্রেট, সাংবাদিক বা কোনো করপোরেট কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেয়া হয়, এ পদের জন্য তা হবে অসম্মানজনক। তারা ঠিকমতো কাজ করতে পারবেন না। যদি একজন বিচারপতিকে নিয়োগ করা হয়, তাহলে হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টের একটি পদ শূন্য হবে। তখন কিভাবে ন্যায়বিচার করা সম্ভব হবে।