সিএনএনের প্রতিবেদন

গাজা যুদ্ধের ৬ মাস: ইসরায়েলের ঝুলিতে নেই কোনো অর্জন

গাজা যুদ্ধের ৬ মাস: ইসরায়েলের ঝুলিতে নেই কোনো অর্জন

ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী ও গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের মধ্যে চলমান সংঘাতের ছয় মাস পূর্ণ হয়েছে। দীর্ঘ এই সময়ে উপত্যকাটিতে ক্রমাগত বেড়েছে মৃত্যুর মিছিল। গত ২৪ ঘণ্টায়ও ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৪৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সবমিলিয়ে গত ৬ মাসে ৩৩ হাজার ১৩৭ জন নিহত হয়েছেন। সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন ৭৫ হাজারের বেশি মানুষ।

গাজায় একদিকে ক্রমাগত প্রাণহানি যেমন বাড়ছে, তেমনি অন্যদিকে তা ইঙ্গিত দিচ্ছে- হামাসের সঙ্গে কীভাবে যুদ্ধ শেষ হবে তা নিয়ে দৃশ্যমান পরিকল্পনা নেই ইসরায়েলের। শনিবার (৬ এপ্রিল) বিশ্লেষণমূলক এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাস নির্মূলে গাজায় ভয়াবহ মানবিক সংকটের মধ্যেই উপত্যকাটিতে অনবরত হামলা ইসরায়েলকে একঘরে করে দিয়েছে। ফলে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার সবদিক থেকেই চাপের মুখে আছে। অন্যদিকে, বহু আন্তর্জাতিক সংস্থা ইসরায়েল যা করেছে, তা গণহত্যা বলে গণ্য হতে পারে বলেও সতর্ক করেছে। এই অবস্থায় ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশগুলোও এখন নেতানিয়াহু সরকারের সমালোচনা করছে। আবার ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ না করতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ওপরও চাপ বাড়ছে।

এদিকে, গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ১৯৬ জন ত্রাণকর্মী নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ইসরায়েলের কাছ তাদের হত্যার কারণ জানতে চেয়েছেন। সেই সঙ্গে গাজায় খাবার সংকট প্রকট আকার ধারণ করায় জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রত্যাশা, ইসরায়েল গাজায় ত্রাণ সরবরাহে বাধা দেবে না।

অন্যদিকে, গত সপ্তাহে তিনটি গাড়িতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। যেখানে বিদেশি সাত কর্মী নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে তিনজন ব্রিটিশ, একজন পোলিস, একজন অস্ট্রেলীয়, একজন মার্কিনি ও একজন ফিলিস্তিনি রয়েছেন। এ ঘটনার পর বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠে। এমনকি খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফোন করে নেতানিয়াহুকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের হুমকিও দেন।