খালেদা জিয়া শেখ হাসিনার চেয়ে হাজার গুণ বেশি জনপ্রিয়: তারেক রহমান

খালেদা জিয়া শেখ হাসিনার চেয়ে হাজার গুণ বেশি জনপ্রিয়: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া যে শেখ হাসিনার চেয়ে ১ হাজার গুণ বেশি জনপ্রিয় নেত্রী সেটি খোদ শেখ হাসিনাই প্রমাণ করেছে। এজন্যই বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচনের আগে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন বাংলাদেশের মানুষ ওই জেলের তালা ভেঙ্গে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বের করে আনবে।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে লন্ডনে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিকের সভাপতিত্ত্বে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীর উপস্থিতিতে সভামঞ্চে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এডভোকেট আহমেদ আজম খান, বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদক মহিদুর রহমান, নাসির উদ্দিন আহমেদ ওসীম, হুমায়ুন কবির, সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, আনোয়ার হোসেন খোকন, মীর হেলাল প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই তিনি বাংলাদেশে গণতন্ত্রের প্রধাননেত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানান।

তারেক রহমান বলেন, বিএনপি মানেই স্বাধীনতার ঘোষণা, বিএনপির মানেই ৭১ এর স্বাধীনতা না, বিএনপি মানেই হচ্ছে বাকস্বাধীনতা, বিএনপি মানেই হচ্ছে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা।

তিনি বলেন, ‘আমরা যারা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদের, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের রাজনীতি করি, আমরা যারা শহীদ জিয়ার আদর্শে বিশ্বাস করি, আমরা যারা বেগম খালেদা জিয়ার রাজনীতি করি আমাদের জন্য এটি গৌরবের বিষয়। আমাদের জন্য অত্যন্ত একটি গৌরবের দিন এই ২৬ মার্চ।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বর্তমান অবৈধ সরকার, ব্যাংক ডাকাত সরকার, অন্ধকারের সরকার, যে নামেই বলেন না কেন স্বাভাবিক নামে ডাকতে পারবেন না। এদেরকে আর যেভাবেই হোক স্বাভাবিক নামে বলতে পারবেন না। এই অবৈধ অন্ধকারের সরকার ক্ষমতা দখল করে, জোরজবস্তি করে ক্ষমতা গ্রহণ করার পর থেকেই যেভাবেই হোক দেশের মানুষকে নতুন প্রজন্মের তরুণ-তরুণীদেরকে, নতুন প্রজন্মের বন্ধুদেরকে, সমগ্র মানুষকে ভীষণভাবে গেলাতে চেষ্টা করে যে এই বাংলাদেশের স্বাধীনতা এটি সম্পূর্ণভাবে তাদের কৃতিত্বের দাবিদার, গায়ের জোরে তারা সবকিছুই নিজেদের কৃতিত্বের দাবি করে কোন যুক্তি তর্ক ছাড়াই।’

তিনি বলেন, ‘একটি প্রশ্ন হচ্ছে- অনেকে অনেক সময় এবং বিএনপির শুভাকাঙ্খীরা বলে যে আমাদের এটা বলা হচ্ছে না, নতুন প্রজন্মকে ওটা বলা হচ্ছে না, সেটা বলা হচ্ছে না, অনেক কিছু বলা হচ্ছে না, সেজন্য আজকে বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে অনেকগুলো না অল্প কয়েকটি কথা বলব। সেটি হচ্ছে যৌক্তিকভাবে- আওয়ামী লীগের দাবি অনুযায়ী যদি ৭ই মার্চ শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা করে থাকে তাহলে ৮ই মার্চ আওয়ামী লীগের উচিৎ ছিলো সরকার গঠন করা। কিন্তু তারা কি সেটা করেছে? করেনি। তার মানে ৭ই মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা হয়নি। স্বয়ং দেশ স্বাধীনের পরে শেখ মুজিব থেকে আরম্ভ করে আজ পর্যন্ত কেনো ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন করা হচ্ছে? ৭ই মার্চ কেনো স্বাধীনতা দিবস পালন করা হচ্ছে না? তার মানে এটাই প্রমাণ করে যে স্বাধীনতা দিবস ৭ই মার্চ নয়, স্বাধীনতা দিবস ২৬শে মার্চ। আর ২৬শে মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান।’

তারেক রহমান বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন উপলক্ষে ২৬ লক্ষ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে গায়েবী মামলা দিয়েছিলো। যদি এই মামলা না থাকতো তাহলে তারা দাঁড়াতেই পারতো না। এসময় নেতা-কর্মীদের তিনি প্রশ্ন করেন, কি তারা দাঁড়াতে পারতো? উপস্থিত নেতা-কর্মীরা বলেন, ‘না’। তখন তিনি বলেন, এটা তারা জানে বলেই তাদেরকে রাতে বেলা ভোট ডাকাতি করতে হয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপির আমলে বিএনপির বিরুদ্ধে রায় দেয়ার কারণে কোন বিচারপতিকে দেশ ছাড়তে হয়নি। অথচ প্রধান বিচারপতেকে রায় দেয়ার কারণে দেশ ছাড়া করা হয়েছে।

তারেক রহমান আরো বলেন, বিএনপি মানেই হচ্ছে স্বাধীনতা। কেউ মানুক আর নাই মানুক এটাই সত্য। শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের যে কোনো নেতা-কর্মী বিএনপিকে বলে- বিএনপির এটা খারাপ, ওটা খারাপ। বিএনপি যদিই খারাপ হয় তাহলে বিএনপিকে নিয়ে তাদের এতা মাথা ব্যাথা কেনো?

বিস্তারিত দেখুন ভিডিওতে-

এমআই/জিএসএস