বাংলাদেশের বন্ধুত্ব নেবেন, রোগও নিতে হবে: মমতা

বাংলাদেশের বন্ধুত্ব নেবেন, রোগও নিতে হবে: মমতা

পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গু রোগের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় তুমুল বাদানুবাদ হয়েছে। বিরোধীরা অভিযোগ করেছেন, ডেঙ্গু রুখতে রাজ্য সরকার ব্যর্থ। সরকার সত্যিটা গোপন করছে। বিধানসভায় সিপিআইএমের বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্যের আক্রমণের জবাবে বলতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবারও বাংলাদেশকে টেনে এনেছেন।

ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের বন্ধুত্ব নেবেন, রোগও নিতে হবে। এর আগেও মমতা অভিযোগ করেছিলেন ডেঙ্গুর মশা আসছে বাংলাদেশ থেকে। এদিন বাম ও কংগ্রেসকে আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য বলেছেন, কোথা থেকে লার্ভা আসছে, কেউ জানি না। আমরা কি জানি, কোথা থেকে আমদানি হচ্ছে।

মশাগুলো যদি আমরা আমদানি করতে পারতাম, তাহলে ফার্স্ট বলতাম আপনাদের কামড়াতে। বিরোধীদের আক্রমণের প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ডেঙ্গু নিয়ে বিরোধীরা কুৎসা রটাচ্ছেন, অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, একজনের মৃত্যুও দুঃখজনক। কখনও কখনও কোনও কোনও রোগ এসে যায়। এদিন বিধানসভায় ডেঙ্গু প্রসঙ্গে অশোক ভট্টাচার্য বলেছেন, আপনারা একের পর এক সচিব বদলাচ্ছেন। এসব করলে হবে? গবেষণা কোথায়?- কটাক্ষ করেন তিনি। আরো বলেন, গোপন কথাটি রবে না গোপনে। ডেঙ্গুতে আক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে এই খবর বেরিয়ে গিয়েছে। এই ব্যর্থতার দায় স্বাস্থ্য দফতরের।

উল্লেখ্য, রাজ্যজুড়ে ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্ত, এই পরিস্থিতিতে সোমবারই স্বাস্থ্যসচিবের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সঙ্ঘমিত্রা ঘোষকে। তার জায়গায় দায়িত্বে আনা হয়েছে বিবেক কুমারকে।

অশোক ভট্টাচার্যের বক্তব্যের জবাবে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছেন, একটা মৃত্যুও দুঃখজনক। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলী ডেঙ্গু প্রবণ। ৪৪ হাজার ৮৫২ জন এই মুহূর্তে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে প্রিভেন্টিভ কিউরেটিভ নিয়ে কাজ হচ্ছে। গ্রামীণ এলাকায় ৬৭ হাজার লিটার লার্ভানাশক দেওয়া হয়েছে। শহরাঞ্চলে প্রায় ৮ কোটি রুপি খরচ করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে ৩ কোটি রুপির গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়েছে। আমরা বিশেষ পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছি। ডেঙ্গুর চরিত্র বদলেছে। জটিলতা তৈরি হচ্ছে।