করোনা সংক্রমণে প্রথম সাংবাদিকের মৃত্যু

করোনা সংক্রমণে প্রথম সাংবাদিকের মৃত্যু

তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই মারা যান দৈনিক সময়ের আলোর নগর সম্পাদক হুমায়ুন কবির খোকন৷ পরে নমুনা পরীক্ষায় তাঁর দেহে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়৷

অসুস্থ খোকনকে মঙ্গলবার রাতে ঢাকার উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে সোয়া ১০টার তিনি মারা যান৷ হুমায়ুন কবির খোকনের স্ত্রী ও সন্তানদের হোম আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে৷

রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহেদ বুধবার বলেন, ‘‘আমরা রাতেই নমুনা সংগ্রহ করে পাঠিয়েছিলাম, ভোরে আমাদের জানানো হয়েছে, তার করোনা ভাইরাস পজিটিভ এসেছে৷

‘‘আমাদের ডাক্তাররা সার্বক্ষণিক হুমায়ুন কবিরের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন৷’’

প্রধানত ইলেট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক এবং ক্যামেরাম্যানদের সীমিত আকারে হলেও বাইরে যেতে হয় অ্যাসাইনমেন্ট কাভার করতে। তারা চেষ্টা করেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে।

হুমায়ুন কবির খোকনের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদ নগরে৷ তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে, এক ছেলে রেখে গেছেন৷

করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বাংলাদেশে গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি চলছে৷ এ সময়ে অনেকেই হোম অফিস করছেন৷ খোকনও গত ১৫ দিন ধরে বাসা থেকেই অফিসের কাজ করছিলেন বলে জানান সময়ের আলো'র সিনিয়র রিপোর্টার হাবিব রহমান ৷

বলেন, ‘‘মঙ্গলবার সকালে তার শ্বাসকষ্ট ও মাথাব্যথা দেখা দেয়৷ এরপর শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে গেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির অ্যাম্বুলেন্সে করে রাত ৯টার দিকে তাকে রিজেন্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়৷’’

হাসপাতালে ভর্তির সময়ই এই সাংবাদিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল৷ ডাক্তাররা চেষ্টা করলেও ঘণ্টাখানেকের মধ্যে তাঁর মৃত্যু হয়৷ হুমায়ুন কবির এর আগে দৈনিক মানবজমিন, আমাদের সময়সহ কয়েকটি সংবাদপত্রে কাজ করেন৷ তাঁর অকাল মৃত্যুতে শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ৷

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এবং দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন৷ কয়েকজন এরই মধ্যে সুস্থও হয়ে উঠেছেন৷ এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, হুমায়ুন কবিরই প্রথম সাংবাদিক যিনি এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন৷