[১] দেশে প্রকৃত মৃতের সংখ্যা অনেক অনেক বেশি : ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার

[১] দেশে প্রকৃত মৃতের সংখ্যা অনেক অনেক বেশি : ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার

প্রিয়াংকা আচার্য্য : [২] ১৪ বিলিয়ন ডলারের একট প্রোজেক্ট বিশ্বব্যাংকের বোর্ড অফ ডিরেক্টর্স অ্যাপ্রোভ করেছেন। এ প্রোগ্রাম থেকে বাংলাদেশকে ১০০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে সাময়িক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে চ্যানেল আইকে জানান বিশ্ব ব্যাংকের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা বিষয়ক হিসেবে কম্বোডিয়ায় দায়িত্বরত এ কর্মকর্তা।

[৩] এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক তারা বিশ্বব্যাংকের প্রজেক্ট ডিজাইনটাকে আরও ১০০ মিলিয়ন ডলার দিয়ে সাপোর্ট করছে। এরপর কোভিড-১৯ এর মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদী প্রকোপ মোকাবেলায় আরও অর্থনৈতিক সাপোর্ট বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো থেকে পাবে

[৪] এই মহামারীতে বিশ্বের ২১৫টি দেশ এবং টেরিটোরির ৪২ লাখ ৬৬ হাজার ৭০৫ জন। যাদের মধ্যে ডাক্তারের সংখ্যা ৯০ হাজারের বেশি। মারা গেছেন ২ লাখ। মৃতের হার ভারতে ৩, পাকিস্তানে ২, শ্রীলংকায় ১, মালদ্বীপে ০.৩৪, নেপাল ও ভুটানে শূন্য এবং বাংলাদেশে ১.৫ শতাংশ।

[৫] তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশে আক্রান্ত ও মৃতের হার কম মনে হলেও এটা নিয়ে খুশি হওয়ার কিছু নেই। কারণ সঠিক হিসাব আসলে উঠে আসছে না। বাংলাদেশে ৩টা জায়গাতে অনেক সমস্যা। কোভিড-১৯ টেস্ট এখানে অনেক কম হয়েছে। ১ লাখ ৫ হাজার ২৪২ জনকে টেস্ট করা হয়েছে। এর অধিকাংশই হয়েছে ঢাকায়।

[৬] এসময়ের মৃত্যুটাকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়। সরাসরি এ ভাইরাস সংক্রমণে মারা যাওয়া। কোভিড-১৯ পজিটিভ কিন্তু পূর্বে আগে থেকেই অন্যরোগে আক্রান্ত। ভাইরাসটি পূর্বের রোগটিকে আরও তরান্বিত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেছে।

[৭] তৃতীয় বিষয়টি এ মুহূর্তে খুব মারাত্মক। অ্যাকিউট অ্যাটাক যাদের হয়েছে- হৃদয় বা ফুসফুসে হাসপাতালগুলো তাদের ভর্তি নিচ্ছে না। ফলে তারা মৃত্যুবরণ করছে।

[৮] আমার জানা মতে বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যেখানে কোন রোগী অন্য যেকোন রোগে আক্রান্ত হয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে গেলে কোভিড-১৯ এর টেস্ট রেজাল্ট এর সার্টিফিকেট চায়। আর এই টেস্টের ফল আসতে দীর্ঘসময় লাগে। মুমূর্ষু রোগীরা সে সময়টা পায় না।

[৯] আশপাশের দেশের মধ্যে কম্বোডিয়া ভালো অবস্থানে রয়েছে। জানুয়ারির মাঝামাঝি দেশটির প্রধানমন্ত্রী আমরা যারা ডেভেলপমেন্ট পার্টনারস্ আছি তাদের সঙ্গে বসেছিলেন আসন্ন সংকট মোকাবেলায় করণীয় নির্ধারণ করতে। তাদের এই প্রাক্কালীন কার্যক্রমের জন্যই আজ পর্যন্ত ১২২ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন। গত ৪ সপ্তাহে নতুন কোন কেস প্ওায়া যায়নি।

[১০] তাদের সফলতার কারণ হলো খুব প্রথম থেকেই বিষয়টা অত্যন্ত গুরুত্বে সঙ্গে নিয়ে তারা ভেরি হাই লেভেলের কমিটমেন্ট, কো-অর্ডিনেশন ম্যানটেন করেছে। আর সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা, এনজিও, সিভিল সোসাইটি সমন্বয়ভাবে কাজ করাই সাফল্য অর্জনের চাবিকাঠি। সূত্র : চ্যানেল আই

এমজে/