ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না: ড. মিজানুর রহমানের নোটিশের প্রেক্ষিতে ইসি সচিব

ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না: ড. মিজানুর রহমানের নোটিশের প্রেক্ষিতে ইসি সচিব

মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমানের দেওয়া উকিল নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, ‘অন্যায় কিছু তো বলিনি। তাই ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না।’ জেকেজি চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা’র এনআইডি জালিয়াতিতে ড. মিজানের ভিজিটিং কার্ড পাওয়া যাওয়ার বিষয়ে ইসি সচিব গত ৩ সেপ্টেম্বর গণমাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এই অধ্যাপক।

মঙ্গলবার তার পাঠানো উকিল নোটিশে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। ক্ষমা না চাইলে নোটিশ গ্রহীতাদের বিরদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন ড. মিজানের আইনজীবি হুমায়ন কবির পল্লব।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইসি সচিব মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা উকিল নোটিশ পেয়েছি। ক্ষমা চাওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না। আমি তো অন্যায় কিছু বলিনি। কেন ক্ষমা চাইব। তারা উকিল নোটিশ পাঠিয়েছে। এখন ইসি সিদ্ধান্ত নেবে- জবাব দেবো, কি দেবো না।’

তিনি বলেন, ‘সময় টিভি কী দেখাইছে না দেখাইছে কাটছাট করে, সেটা তো আর আমি জানি না। আমি কী বলেছি, সেটা অন্যান্য গণমাধ্যমকর্মীরাও ছিলেন, অডিও, ভিডিওসহ আছে। চাইলে দেখতে পারবেন। আমি দোষের কিছু বলিনি। তারা কী কাটছাট করে দেখাইছে, সেটা তারা বুঝবে। উকিল নোটিশ যে কেউ দিতে পারে-এটা কোনো বিষয় না।’

ইসি সচিব আরো বলেন, ‘আমরা সরকারি চাকরিজীবী। আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে, সরকারের অনুমতি লাগে। এটা তারা পারেন কি-না কিংবা মামলা করবেন কি-না, সেটা তাদের ব্যাপার।’

গত ৩ সেপ্টেম্বর ইসি সচিব গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘সাবরিনার এনআইডি জালিয়াতির বিষয়ে একটা কমিটি গঠন করে তদন্ত করতে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে আমরা বুঝতে পারব।’

তিনি বলেন, ‘একটি গণমাধ্যমের নিউজে দেখালাম যে, সাবরিনার আবেদনে সঙ্গে মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমানের একটি কার্ড পাওয়া গেছে। আসলে কার্ড কি উনার কাছে চেয়েছিল বলে দিয়েছে, না কি; সেটা তদন্ত না হলে তো বলা যাচ্ছে না।’

ড. মিজানুর রহমানের প্রভাবের খাটানোর প্রমাণ মিললে কি হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আইন তো সবার জন্য সমান।’ ডা. সাবরিনা মিথ্যা তথ্য দিয়ে দুইবার ভোটার হওয়ায় এবং দুটি এনআইডি সংগ্রহ করায় তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে ইসি।