ঢাবিতে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে সভাপতি, সেক্রেটারি আহত

ঢাবিতে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে সভাপতি, সেক্রেটারি আহত

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত শোভাযাত্রার পূর্বমুহুর্তে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যসহ অন্তত ১৩ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় কেন্দ্রীয় সংসদ কর্তৃক আয়োজিত শোভাযাত্রা শুরুর আগ মুহূর্তে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় জায়গা নেওয়াকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসিমউদ্দীন হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে বাগ-বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সেটি সংঘর্ষে গড়ায়। ওই সময়ে ছাত্রলীগ নেতা জয় ও লেখক ভট্টাচার্য সংঘর্ষের মীমাংসা করতে মঞ্চ থেকে নেমে পড়েন। এর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল ছোড়াছুড়িতে লেখক ভট্টাচার্যসহ কবি জসীমউদ্দীন হল শাখা ছাত্রলীগের অন্তত ১৩ জন নেতাকর্মী আহত হন। কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

ওই সময় লেখক ভট্টাচার্যকে হেলমেট পরিয়ে তার গাড়িতে করে ঘটনাস্থল থেকে হাসপাতালে নিয়ে যান নেতাকর্মীরা। পরে তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে পুনরায় মঞ্চে উপস্থিত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ২টায় অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে মঞ্চের ডান পাশে অবস্থান করা নিয়ে বটতলায় ঢাকা কলেজ আর জসিম উদদীন হলের ছাত্রলীগ কর্মীরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও হাতাহাতি শুরু হলে ছাত্রলীগ সভাপতি জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ওখানে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন।

একপর্যায়ে লেখকের মাথায় এসে ইটের আঘাত লাগে। এতে তিনি আহত হন। পরে তাকে আগারগাঁও নিউরোসায়েন্সে নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়া আহত অন্যদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসা শেষে লেখক আবারও অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

ঢাবির জসিমউদদীন হলের আহতরা হলেন- জুবায়ের, মাহবুব, শিমুল, গালিব, জহির, জহিরুল ইসলাম অমি এবং অপু। ঢাকা কলেজের আহতরা হলেন- হিরু, রুমন, সালমান, সালমান-২, আল-আমিন এবং আবু নোমান।

ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সামাদ আজাদ জুলফিকার ও বাপ্পি হালদারের নেতৃত্বে কবি জসিমউদ্দীন হলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালান। পরে জসিমউদ্দীন হলের নেতাকর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে সংঘর্ষ তৈরি হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ ও জসিমউদদীন হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করেন।