আওয়ামী লীগ কথা রাখেনি

আওয়ামী লীগ কথা রাখেনি

সংখ্যালঘুদের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দেয়া প্রতিশ্রুতি এখনো রক্ষা করেনি বলে অভিযোগ করেছে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারে দলটির দেয়া এসব প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চায় সংগঠনটি। প্রয়োজনে সরকারকে বাধ্য করতে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তুলতেও প্রস্তুত তারা। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রানা দাশগুপ্ত। তিনি সংগঠনের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

লিখিত বক্তব্যে রানা দাশগুপ্ত বলেন, ?আওয়ামী লীগের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বাধ্য করতে আগামী ২ বছরব্যাপী বেশ কয়েকটি কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। গত ৯ই মার্চ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদসহ ৩৩টি সংগঠন মিলে গঠন করা সংখ্যালঘু ঐক্য মোর্চার সভায় এসব কর্মসূচি ঐক্যবদ্ধভাবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ঐক্যপরিষদ ও ঐক্য মোর্চার বছরব্যাপী আন্দোলনের কর্মসূচির শুরুতে আগামী ২৪শে মার্চ শাহবাগ চত্বরে প্রায় ২ লাখ নাগরিকের স্বাক্ষর সংবলিত একটি স্মারকলিপি প্রধানমন্ত্রীকে তার কার্যালয়ে গিয়ে দেয়া হবে।

দেশব্যাপী স্থানীয় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক জেলা কমিটিগুলো প্রধানমন্ত্রী বরাবর অনুরূপ স্মারকলিপি পেশ করবে। আমরা আশা করি, তিনি এ স্মারকলিপি আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করবেন এবং সরকারি দলের অঙ্গীকারসমূহ বাস্তবায়নে দ্রুততম সময়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

লিখিত বক্তব্যে রানা দাশগুপ্ত আরও বলেন, সরকারি দল আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে যেসব অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিল তার মধ্যে রয়েছে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, বৈষম্যবিলোপ আইন প্রণয়ন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনের দ্রুত বাস্তবায়ন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি ও পার্বত্য ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের দ্রুত বাস্তবায়ন ও সমতলের আদিবাসীদের জন্য স্বতন্ত্র ভূমি কমিশন গঠন। এ ছাড়াও তাদের সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠনের দাবিও রয়েছে বলে জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলন থেকে দেশের সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও সুশীল সমাজের নেতাদের এসব দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে নাগরিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঐক্যপরিষদের ৩ সভাপতি ঊষাতন তালুকদার, ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক ও নির্মল রোজারিওসহ সংগঠনের নেতারা।