সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে দগ্ধ আরেকজনের মৃত্যু

সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে দগ্ধ আরেকজনের মৃত্যু

সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪ জনে।

বুধবার (৮ জুন) ভোর পৌনে ৪টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত ওই ব্যক্তির নাম মাসুদ রানার (৩৬)। তিনি জামালপুর সরিষাবাড়ি উপজেলার বাসিন্দা।

চমেক হাসপাতালে দায়িত্বে থাকা জেলা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (৭ জুন) সীতাকুণ্ডের ঘটনাস্থল থেকে দুটি মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। এর মধ্যে একজন ফায়ার সার্ভিস কর্মী, অন্যজন সিকিউরিটি গার্ড বলে জানান ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা।

এদিকে ইয়ার্ডে থাকা প্রায় সাড়ে চার হাজার কনটেইনারের মধ্যে ২৭টি বিপজ্জনক বলে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করেছে সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ দল। যেগুলোতে হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের মতো রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে। এর মধ্যে আটটি কনটেইনার পুড়ে গেছে।

এ ছাড়া পুড়ে যায়নি অথচ অরক্ষিতভাবে ছিল এমন ৭টি কনটেইনার ইতোমধ্যে আলাদা করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। কিন্তু আরও ১২টি রাসায়নিক কনটেইনার অচিহ্নিত অবস্থায় আছে। ফলে এখনো ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

গত শনিবার (৪ জুন) রাত ৮টার দিকে বিএম কনটেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভেতরে আগুনের সূত্রপাত হয়। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। রাত পৌনে ১১টায় এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে ৭২ ঘণ্টা পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ৯ কর্মীসহ ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ হয়েছেন চার শতাধিক।