বন বিভাগের মামলায় অন্ধকারে দেড়শ পরিবার

বন বিভাগের মামলায় অন্ধকারে দেড়শ পরিবার

বন বিভাগের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করায় হবিগঞ্জের বাহুবলে কালিগজিয়া ত্রিপুরা পল্লীতে ১৫০টি পরিবারের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রেখেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। এতে আদিবাসী পরিবারগুলো দুর্ভোগে রয়েছে গত ১৩ দিন ধরে।

সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতরে বন্যপ্রাণীর জীবন ঝুঁকিতে ফেলে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া বেআইনি দাবি করে বন বিভাগ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করায় তারা সংযোগ বন্ধ রেখেছে। তবে বিশেষ প্রক্রিয়ায় সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যেতে পারে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।

জানা গেছে, বাহুবল উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আনতে পুটিজুরী বন বিটের অন্তর্গত কালিগজিয়ার ত্রিপুরা পল্লীতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। এরপর সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতরের বিদ্যুৎ সংযোগ জীববৈচিত্র্যকে ঝুঁকিতে ফেলবে এবং সেখানে বেআইনিভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে আদালতে মামলা করে বনবিভাগ। মামলাটি এখনও আদালতে চলমান।

এদিকে গত ২৮ মে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পল্লীটির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। এরপর মামলা থাকার কারণে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সংযোগটি মেরামত করে দেয়নি। ফলে গত ১৩ দিন ধরে পরিবারগুলো দুর্ভোগে রয়েছে। এতে পরিবারের বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এ বিষয়ে পুটিজুরী বন বিটের বিট কর্মকর্তা রথীন্দ্র কিশোর রায় বলেন, সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বেআইনিভাবে লাইন স্থাপন করা হয় বলে আমার আগের দায়িত্বরত কর্মকর্তা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন। এখন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সংযোগ বিচ্ছিন্ন রেখেছে। এতে আমার কার্যালয়সহ ত্রিপুরা পল্লীর প্রায় দেড়শ পরিবার অন্ধকারে রয়েছে।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বাহুবল জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মো. শহীদুল্লাহ বলেন, বন বিভাগ আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে আমরা আদালত থেকে জামিন পেয়েছি। এ মামলার কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহুয়া শারমিন ফাতেমা বলেন, বিষয়টি সমাধানের জন্য মামলার বাদী ও বিবাদীপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে বসেছিলাম। কিন্তু যেহেতু আদালত থেকে আদেশ পাওয়া যায়নি সেক্ষেত্রে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।