নির্বাচন কমিশনের কর্মপরিকল্পনায় নতুন কিছু পাইনি: ড. সাখাওয়াত

নির্বাচন কমিশনের কর্মপরিকল্পনায় নতুন কিছু পাইনি: ড. সাখাওয়াত

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত কর্মপরিকল্পনায় যেসব কার্যক্রমের কথা উল্লেখ রয়েছে তা গতানুগতিক এবং সেখানে নতুনত্ব কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

তিনি বলেন, কর্মপরিকল্পনায় নির্বাচন কমিশন কিছু চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেছে। সেগুলো থেকে উত্তরণ তারা কিভাবে ঘটান তাই এখন দেখার বিষয়। আর সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচনি আইনি সংস্কার এবং প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপে এখন থেকে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। কিন্তু পদক্ষেপের কৌশল কী হবে তা কর্মপরিকল্পনায় নেই।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা বুধবার ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এতে সংসদীয় এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ, নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও সরবরাহ, রাজনৈতিক দল নিবন্ধনসহ সাতটি বিষয়ে করণীয় উল্লেখ রয়েছে। একইসঙ্গে নির্বাচনে ১৪টি চ্যালেঞ্জ ও এর থেকে উত্তরণে ১৯টি করণীয় প্রকাশ করে ইসি।

এ সম্পর্কে ড. এম সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, নির্বাচনের আগে সব নির্বাচন কমিশনকেই এসব কাজ করতে হয়। এগুলো না করলে নির্বাচন আয়োজন করা যায় না। বর্তমান কমিশনও কাজগুলো কখন কীভাবে করবে তা উল্লেখ করেছে। সেখানে নতুনত্ব কিছু নেই।

তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আইন ও বিধিমালা সংস্কার করতে হবে। কিন্তু আইন ও বিধিমালা সংস্কারে কাদের সঙ্গে সংলাপ করা হবে তা রোডম্যাপে সুনির্দিষ্ট করা নেই। এছাড়া ভোটের সময়ে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ একটি বড় বিষয়। ওই নিয়ন্ত্রণ তফশিল ঘোষণার পরই চলে আসবে তা নয়। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। সেই বিষয়টিও কর্মপরিকল্পনায় স্পষ্ট করা হয়নি।

উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অথচ কোনো কোনো জায়গায় জেলা প্রশাসকেরা দলীয় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার খবর বের হচ্ছে। তাহলে ওই জেলা প্রশাসক দিয়ে কিভাবে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব। এজন্য আগে থেকেই ধারাবাহিকভাবে প্রশাসনের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপে কর্মপরিকল্পনা থাকতে হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন কর্মপরিকল্পনায় অনেক চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেছে। এখন দেখার বিষয় হচ্ছে সেগুলে থেকে তারা কিভাবে উত্তরণ ঘটান।