বাংলাদেশের শ্রমিকরা শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের শিকার, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন

বাংলাদেশের শ্রমিকরা শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের শিকার, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন

প্রতি বছরের মতো ওয়াশিংটন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম দপ্তর প্রকাশ করলো শিশু শ্রম ও জোরপূর্বক শ্রম প্রতিবেদন-২০২২। এতে বিশ্বের মোট ১৩১টি দেশের তুলনামূলক তথ্য তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ৯টি দেশের অগ্রগতি হয়েছে উল্লেখযোগ্য। আর বাংলাদেশসহ ৭৩টি দেশের অগ্রগতি মাঝারি।

বাংলাদেশ নিয়ে বলা হয়েছে, তৈরি পোশাক খাতে শ্রমিকেরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয় রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির কথা। পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও অতিরিক্ত সময় কাজ করানো ও ক্ষতিপূরণ না দিয়ে আটকে রাখার ঘটনা ঘটছে বলে উল্লেখ করা হয়।

এছাড়া সুপারভাইজারদের নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন নারী কর্মীরা। শিশু শ্রম নিয়ে বলা হয়, ইটভাটা, শুটকি শিল্প, তৈরি পোশাক, চামরাজাত পণ্য, চিংড়ি, সাবান, লবণসহ ১৪ শিল্পে ঝুকিপূর্ণ শ্রমে সঙ্গে জড়িত শিশুরা। সেই সঙ্গে অনানুষ্ঠিক খাতে কর্মরত শিশুদের জন্যে নেই আইনি সুরক্ষা।

প্রতিবেদন বলছে, মানবপাচারে জড়িত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশের আইন-শৃংখলা বাহিনী। আর ৫ হাজার ৮৮ জন শিশুকে ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করেছে সরকার।

প্রতিবেদনটি বলছে, করোনার কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিশুদের মিয়ানমারের কারিকুলামে শিক্ষা দেয়া বন্ধ হয়েছে।

এছাড়াও জান্তা সরকার দেশটিতে শিশুদের সর্বোচ্চ ঝুকিপূর্ণ কাজে অংশগ্রহণে বাধ্য করছে, এমনটি স্বচিত্র প্রতিবেদনও দেখানো হয়।