দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেয়া আমাদের ব্যর্থতা: র‌্যাব ডিজি

দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেয়া আমাদের ব্যর্থতা: র‌্যাব ডিজি

আদালত প্রাঙ্গণ থেকে সম্প্রতি ২ জঙ্গি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ও এখন পর্যন্ত তাদের ধরতে না পারাকে ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন এলিট ফোর্স র‌্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ আলম। তিনি মনে করেন, জঙ্গিরা নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করলেও অব্যাহত অভিযানে তারা সুসংগঠিত হতে পারবে না। শুক্রবার সকালে ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে র‌্যাব ফোর্সেস এর মহাপরিচালক সম্মেলনস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, দুই জঙ্গি পালিয়ে গেছে, এটা আমরা অস্বীকার করব না। আমরা অবশ্যই আত্মসমালোচনায় বিশ্বাস করি। ব্যক্তিগতভাবে আমি অবশ্যই আমার দুর্বলতা থাকলে স্বীকার করব। এটা আমাদের ব্যর্থতা। ২ জঙ্গি পালিয়ে গেছে এবং তারা দীর্ঘ দিন ধরে পরিকল্পনা করেছে এবং আমরা এখনো তাদের ধরতে পারিনি। কিন্তু, আমাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছি।

অপর প্রশ্নের জবাবে র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, এখনো জঙ্গি তৎপরতা অব্যাহত আছে। আমাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা আগেও বলেছিলাম, আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, পাহাড়ি এলাকায় জঙ্গি সংগঠনের প্রশিক্ষণ চলাকালে আমরা তাদের আটক করি।

তাই, তারা তেমন কিছু করার সুযোগ পাবে বলে আমরা মনে করি না।
এদিকে আগামীকাল শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন আনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে র‌্যাবের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে জানিয়ে র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, সম্মেলন উপলক্ষে এখানে বিভিন্ন পয়েন্টে র‌্যাবের স্ট্রাইকিং ফোর্স, পেট্রোল পার্টি থাকবে। ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে সুইপিং করা হবে। বোম্ব ডিসপোজাল টিম, সাদা পোশাকে সদস্যরা মোতায়েন থাকবে এবং আমাদের কমান্ডো টিম প্রস্তুত থাকবে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য এবং সম্মেলনের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য র‌্যাব ফোর্সেস সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে বলেও জানান তিনি।

জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই জানিয়ে র‌্যাব ডিজি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করলে কোনো অপশক্তিই কিছু করতে পারবে না।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে মানুষের মধ্যে এক ধরনের আশঙ্কা ও সংশয় রয়েছে, এ বিসয়ে র‌্যাব ডিজি বলেন, মানুষের মধ্যে তো প্রতিক্রিয়া আছেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কত কথাই আসে, সবই কি সত্যি? মানুষ তো ভাবতেই পারে। আমাদের চিন্তার স্বাধীনতা আছে, কথা বলার স্বাধীনতা আছে। আমি আমার মতো বলতেই পারি, ভাবতেই পারি। তবে এটার জন্য কোনো থ্রেট আছে বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি না।