ভারতের প্রতিবেশীদের চীন কিভাবে ঋণ দেয়, যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন

ভারতের প্রতিবেশীদের চীন কিভাবে ঋণ দেয়, যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন

ভারতের প্রতিবেশীদের চীন কিভাবে ঋণ দিচ্ছে তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। চীনের এসব ইস্যুতে গুরুত্বর আলোচনা করেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। আগামী মাসে কোয়াড পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসবেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। তিনি চীনা ইস্যুতে সফরের সময় আরো আলোচনা করবেন। এ তথ্য জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। এ তথ্য জানিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে অনলাইন হিন্দুস্তান টাইমস।

এতে বলা হয়েছে, মার্চে দিল্লি সফরে আসছেন অ্যান্টনি ব্লিনকেন। এ সময়ে তিনি জি২০ ভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করবেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত অংশীদারিত্বের বিষয়ে আলোচনা করবেন। যোগ দেবেন কোয়াড্রিলেটারেল সিকিউরিটি ডায়ালগ (কোয়াড) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মিটিংয়ে।

সেখান থেকে রাইসিনা ডায়ালগে চলে যাবেন। তারপর কোয়াডের চার পররাষ্ট্রমন্ত্রী একসঙ্গে প্রথমবারের মতো একটি প্যানেলের সামনে বক্তব্য রাখবেন। এসব বিষয়ে ডোনাল্ড লু জানিয়েছেন বলে খবরে বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, ভারতের প্রতিবেশীদের কিভাবে চীন ঋণ দিচ্ছে, কিভাবে তারা ঋণ সংকটের মধ্যে যাচ্ছে, তা নিয়ে বিশেষত উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র। দমনমুলক উদ্দেশে এসব ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে।

দ্বিতীয় আরেকজন কর্মকর্তা বলেছেন, জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের প্রেসিডেন্সির বিষয়ে সমর্থন দেবেন অ্যান্টনি ব্লিনকেন। কারণ, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসনকে প্রধান ফোকাসে আনা অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্য দিয়ে জাতিসংঘ সনদের অধীনে ক্রেমলিনের যুদ্ধ বন্ধে ন্যায়সঙ্গত, শান্তিপূর্ণ এবং টেকসই একটি সমাধানের জন্য জি২০ ভুক্ত অংশীদারদের আহ্বানকে দ্বিগুন করতে উৎসাহিত করা হবে। তবে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে একটি যৌথ বিবৃতিতে আসার ক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধকতা হতে পারে ইউক্রেন যুদ্ধ। কারণ, এই যুদ্ধ নিয়ে ভিন্নমত আছে। সম্প্রতি ব্যাঙ্গালোরে অর্থমন্ত্রীদের মিটিংয়ে এমনটা দেখা গেছে।

অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সফর নিয়ে শুক্রবার সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ডোনাল্ড লু। তিনি বলেন, কৌশলগত অংশীদারিত্ব বিষয়ে আলোচনা করবেন ব্লিনকেন ও জয়শঙ্কর। কিন্তু জি২০র ভিতরে কিভাবে এশিয়ান কোয়াড কাজ করছে আমরা সেদিকে বস্তুত ফোকাস করি। আমাদের মধ্যকার প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, ইনিশিয়েটিভ ফর ক্রিটিক্যাল অ্যান্ড ইমার্জিং টেকনোলজিস (আইসিইটি), যা হোয়াইট হাউজ এবং প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে হারিয়ে যাচ্ছে, এসব থাকবে আলোচনায়। উল্লেখ্য, ওয়াশিংটন ডিসিতে দুই দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারা ৩১শে জানুয়ারি চালু করেন আইসিইটি।