সরকারের প্রশ্রয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হত্যাযজ্ঞের ঘটনা ঘটাচ্ছে: বিএনপি মহাসচিব 

সরকারের প্রশ্রয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হত্যাযজ্ঞের ঘটনা ঘটাচ্ছে: বিএনপি মহাসচিব 

সরকারের প্রশ্রয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একটা পর একটা হত্যাযজ্ঞের ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এ সরকার জনগণ দ্বারা নির্বাচিত নয়, তাদের বেআইনি আদেশ পালন করতে গিয়ে এ ঘটনাগুলো ঘটছে। র‍্যাবকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরও যখন ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এ সরকার কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি, তখন তারা আবার প্রশ্রয় পেয়েছে। একটার পর একটা তারা হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়ে চলেছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর লেডিস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

নওগাঁয়ে র‍্যাবের হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনার প্রসঙ্গে টেনে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, একজন সাধারণ মহিলা যিনি চাকরি করে তার ছেলেকে মানুষ করছেন, তাকে নির্মমভাবে তুলে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করে, নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। এখন র‍্যাব এটাকে অস্বীকার করছে।

তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন সরকার জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল করে আছে ও প্রায় এক যুগের ওপরে এদেশের মানুষকে তারা গুম-হত্যা-খুন-নির্যাতনের মাধ্যমে দমন করে রেখে একদলীয় শাসন অর্থাৎ বাকশাল প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছে। বিএনপি যখন ভাত-কাপড়ের আন্দোলন, গণতান্ত্রিক অধিকারের আন্দোলন, বেঁচে থাকার আন্দোলন, ভোটের অধিকারের আন্দোলন শুরু করেছে তখন থেকে এখন পর্যন্ত ১৭ জন নেতাকর্মীকে রাজপথে প্রাণ দিয়েছেন। ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, ৬‘শ মানুষ গুম হয়ে গেছেন, হাজারো মানুষ হত্যা করা হয়েছে। এ যে একটা দানবীয় শাসন সবার ওপরে চেপে বসেছে একে অবিলম্বে সরাতে হবে। জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই ভয়াবহ দানবীয় ফ্যাসিস্ট সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, রহমান আকরাম মিয়া ও দীপু হায়দার খান। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, বরকত উল্লাহ বুলু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলনসহ কৃষক দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মী।